হাসপাতাল ছেড়ে ‘জলসায়’ ফিরলেন ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যা

১৫ দিন করোনাভাইরাসে ভোগে রোগমুক্তির পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার মেয়ে আরাধ্যা।

বচ্চন পরিবারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের চারটি বাড়ি জলসা, জনক, প্রতীক্ষা, ভাতসা অবরুদ্ধ করে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। রোববার সেই বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় জলসাতেই ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যা। এতদিন তারা মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

সোমবার তাদের দুজনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসার কথা জানান অভিষেক বচ্চন। এক টুইটে তিনি বলেন, প্রার্থনা আর শুভকামনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকলাম।

বলিউডের ছোট বচ্চন জানিয়েছেন, তার স্ত্রী-কন্যা এখন বাড়িতে থাকবেন। তবে তাকে ও তার বাবা অমিতাভ বচ্চনকে হাসপাতালেই থাকতে হবে। তারা এখনও সেরে ওঠেননি। তারা এখনও নানাবতী হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে গত ১১ জুলাই ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘বিগ বি’ অমিতাভ এবং তার ছেলে অভিষেক হাসপাতালে ভর্তি হন। পর দিন অভিষেকের স্ত্রী ঐশ্বরিয়া এবং তাদের মেয়ে আরাধ্যার কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। তবে অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চনসহ পরিবারের অন্যদের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

শুরুতে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকলেও ৮ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ১৭ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৪৬ বছর বয়সী ঐশ্বরিয়া।

১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতা ঐশ্বরিয়া রাই তামিল সিনেমা দিয়ে রূপালি পর্দায় এলেও ১৯৯৯ সালে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফল ওই চলচ্চিত্র ঐশ্বরিয়াকে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও এনে দেয়।

২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া বানসালির ‘দেবদাস’ বলিউডে সাড়া জাগিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয়েছিল। এই সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত, শাহরুখ খানের মতো তারকারা।

২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া। ২০১১ সালে তাদের কোল আলো করে আসে মেয়ে আরাধ্যা।

 

সুত্রঃ যুগান্তর