হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালানোকালে স্বামী আটক

ময়মনসিংহের নান্দাইল সদর হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এক নারীকে নিয়ে আসেন শাহীন নামে এক যুবক। পরে জানা যায়, ওই যুবক তার স্বামী এবং এই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, ওই নারী ততক্ষণে মৃত। কিছুক্ষণের মধ্যে উধাও হয়ে যান স্ত্রীকে নিয়ে আসা শাহীন। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দিলে স্বামীকে খুঁজে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। আজ রবিবার ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ওই নারী হচ্ছে নান্দাইল পৌরসভার ঝালুয়া নামক মহল্লার আবু ছাঈদ মন্ডলের মেয়ে তামরীন নাহার পপি (১৯)। গত প্রায় ছয়মাস আগে বিয়ে হয় উপজেলার আাঁচারগাও ইউনিয়নের টঙ্গীরচর এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে শাহীনের (২৫) সাথে। এরপর থেকে শাহীন শ্বশুড়বাড়িতেই থাকতেন পপি।

শনিবার সকালে বাড়ির অন্য সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় বাড়িতে অবস্থান করেন শাহিন ও তাঁর স্ত্রী পপি। রাত ১১টার দিকে পপিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় টের পায় প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষণ পর খবর আসে পপি মারা গেছেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে। পপিকে মৃতই হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বামী শাহিন। তারপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশিস দাস জানান, নিহত নারীর গলায় আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও প্রেসার ও পালস পাওয়া যায়নি।

নিহতের ভাই পলাশ জানান, তিনি ওই সময় শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে জানতে পেরেছেন বোনকে তার স্বামী মেরে ফেলেছে।

তবে থানায় অবস্থান করা অভিযুক্ত শাহিন জানান, তিনি স্ত্রীর মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানেন না। শনিবার রাতে কিছু সময়ের জন্য বাহিরে গেলে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ঝুলে রয়েছে।

নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীর ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ