শুক্রবার , ১৬ আগস্ট ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বাকি ১৮ লাখ টাকা!

Paris
আগস্ট ১৬, ২০২৪ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির পরিমাণ ১৭ লাখ ৭৯ হাজার বা প্রায় ১৮ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ক্যান্টিন মালিক। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজনে মিলেই পৌনে ৬ লাখ টাকার মতো বাকি খেয়েছেন।

শুক্রবার ক্যান্টিনের মালিক বাবুল গণমাধ্যমের কাছে একটি তালিকা পাঠান। সেই তালিকায় ৪৮ জন নেতার বিরুদ্ধে বাকির অভিযোগ করেন। তবে কোনো ধরনের মেমো দেখাতে পারেননি তিনি।

ক্যান্টিন মালিকের দেওয়া তালিকা থেকে জানা যায়, রিয়াজুল ইসলাম ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মুনেম শাহরিয়ার মুন ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলি হাসান রিফাত ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আফছার হোসেন রানা ৪৫ হাজার টাকা, জয় লেখক কমিটির সাবেক সহসম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ১ লাখ ১৫ হাজার, বাইজিদ কোতোয়াল ৪৫ হাজার টাকা, হল সংসদের সাবেক জিএস রাহিম সরকার ৫৫ হাজার টাকা বাকি করেছেন।

এছাড়াও, উচ্ছল ৮৫ হাজার, নাহিদ ১ লাখ ১৫ হাজার, রাজু ৬১ হাজার, লাভলু ৪৮ হাজার, আব্দুল আলিম ৬০ হাজার, কাজল ৭০ হাজার, হারুন ৭০ হাজার, নাজমুল ৩৫ হাজার, শাহাদাত ১৫ হাজার টাকা বাকি করেছেন।

ক্যান্টিন মালিক বাবুল বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই বাকিতে খেতেন। তারা নানাসময়ে আমাকে হুমকি ধামকি দিতেন। এমনকি ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য প্রতিদিন ৮-১০টি খাবার ‘স্পেশালভাবে’ রান্না করা হতো।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের রুমে প্রতিদিন ৫-১০টি খাবার যেত। যেহেতু তারা টাকা দিবে না, তাই আমি খাতায় লিখেও রাখি নাই। এটা আনুমানিক হিসেব তালিকা দিয়েছি।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার বলেন, ‘আমিও বিষয়টি দেখেছি কিছুক্ষণ আগে। আমার কাছে সে অভিযোগ দেয়নি। এর আগেও আমি ক্যান্টিন ঘুরে তার খাবার মান নিয়ে জিজ্ঞেস করেছি। তার কাছে কেউ বাকি খায় কিনা জানতে চেয়েছি। কিন্তু সে বরাবরই আমাকে বলেছে, তার কাছে কেউ বাকি খায় না। আমি তাকে নেতাদের নাম দিতে বলেছিলাম, সে দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এত টাকা বাকি খেলে সে কিভাবে ক্যান্টিন পরিচালনা করেছে আমি জানি না। সে আগের প্রভোস্টের কাছে কোন অভিযোগ দিয়েছিল কিনা সেটাও দেখতে হবে। এত টাকা বাকি থাকার পরেও সে কিভাবে ক্যান্টিন চালিয়েছে সেটাও দেখার বিষয়। এটি তদন্তের বিষয়। তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার বিষয়ে ছাত্রলীগের প্রায় ১০ নেতার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 

সর্বশেষ - শিক্ষা