রবিবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

হত্যা মামলার পর হদিস নেই আইবিএ পরিচালকের, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

Paris
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে খোঁজ নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহর। এমনকি সরকারের পতনের দেড় মাস পরও শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তার দেখা মেলেনি।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ৩০ জুন আইবিএর পরিচালকের দায়িত্ব নেন। এই সময় থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটা বারের জন্যও সাক্ষাৎ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথম ১১-২১ সেপ্টেম্বর ছুটি নেন এবং এরপর তিনি ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি চেয়েছেন।

সূত্র জানায়, অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ দুইটি মামলা হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে (৮০ নম্বর আসামি)। মামলায় তাকে আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২৯ আগস্ট বনানী থানায় আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয় (মামলা নম্বর ৮)।
গত ৭ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করে ডিবি। রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া তিনি গত ২৫ আগস্ট নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি উপস্থিত থেকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন বলে জানা যায়। হত্যাকাণ্ডের মতো অভিযুক্ত শিক্ষক এখনও কীভাবে বহাল থাকে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে পরিচালকের অনুপস্থিতে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম থমকে আছে। এই অবস্থায় গত ১০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানান। দাবি কতটা বাস্তবায়ন হলো সেটা নোটিশ আকারে দেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। এই সংবাদ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে মেইল করে ক্লাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

শিক্ষকদের কাছে পাঠানো মেইলের একটি কপি বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসেছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্তত ১ সপ্তাহ আগে নোটিশ পাওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা না করে তাদেরকে ক্লাসে ফেরার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যারা ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন এতো শর্ট নোটিশে তাদের ক্লাসে ফেরা সম্ভব নয়। আমরা যে দাবিগুলো জানিয়েছিলাম সেগুলো এখনও পূরণ করা হয়নি। ক্লাস অন্তত এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানান তারা।

আইবিএ’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শাকিল হুদা শিক্ষার্থীদের মেইল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করেছি।’ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা পলিসিগত বিষয়। আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থানে নাই। ইনস্টিটিউটের পরিচালকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আইনগত বিষয়।

 

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক