নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী-ঢাকা রুটে হঠাৎ বাস ধর্মঘট শুরু করেছে শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিক থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট শুরু করে বাস শ্রমিকরা।
এর আগে নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে এক বাস শ্রমিকের মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন রবি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, রাসেল নামের একজন বাস শ্রমিককে মারপিটের প্রতিবাদে বাস ধর্মঘট শুরু করেছেন শ্রমিকরা। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে নগরীরি শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি রাস্তার ওপরে বাস রেখে ঢাকা রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। তারা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করতেও থাকেন। এসময় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
এরপর থেকে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। এ নিয়ে ঢাকাগামী রাতের যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। রাতে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসের টিকেট কেটেও বাস চলাচল না করায় ফের বাড়ি ঘুরে যেতে হয় যাত্রীদের।
এসময় যাত্রীাদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। তাদের অভিযোগ বেপরোয়া শ্রমিকরা কোথায় কোথায় ধর্মঘট ডাকে শুধু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানোর জন্য। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই এরা একের পর এক ধর্মঘট ডেকে পার পেয়ে যায়। কিন্তু প্রশানিকভাবে এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এতে করে ক্রমেই সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ছে বাস শ্রমিকদের কাছে।
আজিজুল পারভেজ নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, তিনি একটি চাকরির ভাইভা দিতে বুধবার রাতে সাড়ে ১১টার বাসের টিকিট কাটেন ঢাকা যাওয়ার জন্য। তিনি আশা করেছিলেন বৃহস্পতিবার সকাল হতে হতেই তিনি ঢাকায় পৌঁছে যাবেন। কিন্তু হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই আশায় গুড়ে বালি পড়ে তার।
রাত ১১টার কিছুক্ষণ পরপরই আজিজুল পারভেজ যখন রাজশাহী বাসস্ট্যান্ডে আসেন, তিনি তখন জানতে পারেন চলাচল করবে না। এসময় যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার। ট্রেনে যাবেন, সেই পথও তৎক্ষণে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ১১ টা ২০ মিনিটেই রাজশাহী স্টেশন থেকে ধূমকেতু ট্রেনটি ছেড়ে চলে যায়। ফলে অল্পের জন্য ট্রেনটিও ধরতে ব্যর্থ হন আজিজুল পারভেজ। এতে করে চাকরি প্রত্যাশী আজিজুল পারভেজ অনেকটাই হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত বাসায় চলে যান।
তার মতো জরুরী প্রয়োজনে ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেও এভাবে শতশত যাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর থেকে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়।
স/আর