হংকংয়ের কার্যালয় বন্ধ করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

হংকংয়ের মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের দুটি কার্যালয় বন্ধ করতে যাচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনটি এর আগে ঘোষণা দিয়েছে যে, চলতি বছরের শেষে তারা সেখানে তাদের কার্যালয় বন্ধ করে দেবে। এরই মধ্যে গতকাল রবিবার থেকে তারা স্থানীয়ভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কার্যালয় লন্ডনে। তবে এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যান্য অফিস থেকে গবেষণা, অ্যাডভোকেসি ও প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।  হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের কারণে এমন বেদনাদায়ক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনটি। নিরাপত্তা আইনের ফলে হংকংয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করা অসম্ভব। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বোর্ডের চেয়ারম্যান আনঝুলা মায়া সিং বাইস সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হংকং দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সুশীল সংস্থাগুলো জন্য একটি আদর্শ আঞ্চলিক ভিত্তি ছিল। তবে সম্প্রতি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ভিন্ন মতকে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে সর্বত্র। তাই এ ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য কঠিন।

হংকংভিত্তিক কিছু বিশিষ্ট সামাজিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নের মতো অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ফলে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ২০২০ সালের জুনে চীন জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি হংকংয়ের ওপর আরোপ করে।

কোনো বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের কাজকে মোকাবিলা করার জন্যই ওই আইনটি করা হয়। আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে নাগরিক মানবাধিকার ফ্রন্টসহ অন্তত ৩৫টি সংগঠন তাদের কর্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকারকে জবাবদিহি করার লক্ষ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ৭০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ