সয়াবিন তেল তো শরীরের জন্য ক্ষতিকর : বাণিজ্যমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোজ্য তেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশে সরিষা ও ধানের তুষের তেলের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। দেশে বর্তমানে রাইস ব্র্যান ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন উৎপাদন হয়। এটিকে সাত লাখ টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটি হলে মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে।

তা ছাড়া সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্র্যান অনেক ভালো। সয়াবিন তেল তো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ভোজ্য তেলের বাজারে সমস্যা হবে না উল্লেখ করে এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আছে। গত ৫ মে তেলের যে দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল তখন ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, সাপ্লাই ঠিক আছে। কিন্তু মাঝখানে সেটা ঠিক ছিল না, তবে এখন সাপ্লাই ঠিক হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশে তেলের দাম বেড়েছে। প্রতিনিয়তই দাম বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা বিকল্প বাজারে যাব না। দেশেই সরিষা ও রাইস ব্রান তেলের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা যদি অনেক চাপ দিই তাহলে রাইস ব্রান থেকে ৭ লাখ টন তেল উৎপাদন সম্ভব। রাইস ব্রান রপ্তানি বন্ধ করার বিষয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।

ডলারের দাম বাড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই বছর আমদানি কম ছিল। এখন খুলে যাওয়ায় ক্যাপিটালে প্রভাব পড়েছে, দুই বছরের চাপ পড়েছে একসঙ্গে। সব কিছু মিলে একটা প্রভাব পড়েছে। আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভে চাপ পড়েছে। গত দুই বছর আমদানি কমায় বেড়েছিল রিজার্ভ। এখন চাপ পড়ায় এই সমস্যা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, শ্রীলঙ্কায় বিপদ বলে আমাদের বিপদ তা তো নয়। আমরা তো তাদের সহায়তা করেছি। আমাদের ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী এটি নিয়ে সুন্দরভাবে বলেছেন আমাদের দেশে বৈশ্বিক প্রভাব পড়েছে, সাশ্রয়ী হতে হবে।

দেশে গমের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি) পদ্ধতিতে আনা যাবে। দেশে গমের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ছাড়াও এফবিসিসিআইসহ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ