স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণের নতুন তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা প্রণয়নের খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। আইনজীবী বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত নির্ধারিত দিনে শুনানি নিয়ে ডাক্তারদের প্র্যাকটিস নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার সর্বশেষ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে নতুন যে তালিকা করা হয়েছে তাও দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বশির আহমেদ বলেন, দেশের সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন না করায় হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করলে হয়তো করোনায় এত মানুষ মারা যেত না।

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ ছাড়াও দেশের সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা ও ফি’র মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন লাইসেন্স দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।

এর আগে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন।