স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তলব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে অনুসন্ধান দলের প্রধান ও দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম তাদেরকে তলব করে চিঠি দিয়েছেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি জানিয়েছেন।

ওই নয়জনকে আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেককে ২২ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ইমদাদুল হক, সাতক্ষীরা মেডিক‌্যাল কলেজের ল্যাব সহকারী আবদুল হালিম ও ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজের সচিব আনোয়ার হোসেনকে ২৩ অক্টোবর তলব করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইপিআইয়ের হিসাবরক্ষক মজিবুর রহমান মুনশি ও ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সায়েম মো. ইমদাদুল হক সাদেককে ২৪ অক্টোবর তলব করা হয়েছে।

চিঠিতে তাদেরকে দুদকে হাজির করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ‌্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুদকে উপস্থিত হওয়ার দিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পরিচয়পত্র না থাকলে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং আয়কর রিটার্নের অনুলিপি নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।

অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ওই নয়জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচার করেছেন।’

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা:

রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষব‌্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুদক। বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলমের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

তাই তার বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।