স্ত্রী হত্যার দায়ে দিনাজপুর জেলা কারাগারে আব্দুল হক নামের এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
দিনাজপুর জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুল হক রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।
এর আগে বিকেলে নিহতের পরিবারের ১৫ জন সদস্য আব্দুল হকের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন এবং খাবার খাইয়ে ঘণ্টাখানিক অবস্থান করে চলে যান। পরে রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়, এ সময় রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ, চিকিত্সকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আব্দুল হকের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি আব্দুল হককে আসামি করে তার শাশুড়ি বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৫)। যার নারী ও শিশু মামলা নং-৩৩৭/২০০২।
৫ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণাদির পর ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত আব্দুল হককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে আব্দুল হকের পরিবার হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টে আপিল করলেও সেখানে সাজা বহাল থাকে। সর্বশেষ আব্দুল হক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন।
গত বছরের ১৮ মে মামলাটির যাবতীয় বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে রাজশাহী থেকে ওহিদুল ইসলাম নামের একজন জল্লাদের মাধ্যমে গতকাল দিবাগত রাতে আব্দুল হকের ফাঁসি কার্যকর হলো।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ