স্টার সিনেপ্লেক্সে একদিনে হলিউডের দুই ছবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

২০ নভেম্বর একসঙ্গে দু’টি হলিউডের ছবি মুক্তি পাবে স্টার সিনেপ্লেক্সে। ছবি দু’টি হলো, ‘ফোর্স অব ন্যাচার’ এবং ‘দ্য রেন্টাল’। মাইকেল পলিশ পরিচালিত অ্যাকশন ছবি ‘ফোর্স অব ন্যাচার’-এ অভিনয় করেছেন মেল গিবসন, কেট বসওয়ার্থ, এমিলি হার্শ, ডেভিড যায়াস প্রমুখ। অন্যদিকে, ডেভ ফ্রাঙ্কো পরিচালিত থ্রিলার ছবি ‘দ্য রেন্টাল’-এ অভিনয় করেছেন ড্যান স্টিভেন্স, অ্যালিসন ব্রি, জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট, টবি হাজসহ আরও অনেকে।

ফোর্স অব ন্যাচার
প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় হারিকেন চলাকালীন নিরাপত্তবাহিনী যখন একটি ভবনের লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলো তখন সেখানে ডাকাতি করতে যায় একদল ডাকাত। তাদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ এবং রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার অভিযানের গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে ‘ফোর্স অব ন্যাচার’-এর গল্প।

পুয়ের্তো রিকোর দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্নিঝড়। শহরের বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জন ব্যাপটিস্ট নামে এক ডাকাত এক বৃদ্ধ মহিলা এবং তার সহকর্মীকে হত্যার আগে একটি ঠিকানা পেয়ে যায়। ইতিমধ্যে কার্ডিলো নামে একজন পুড়ে যাওয়া পুলিশ অফিসার নীচু ডেস্ক অফিসার হিসেবে কাজ করার কথা জানায়, তবে জেস পেনা নামে আরও একজন কর্মকর্তার সাথে বেরিয়ে যেতে এবং কেউ তাদের বাড়ি ঘর আশ্রয়ে যেতে অস্বীকার করলে তাকে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কার্ডিলো খুব বিপর্যস্ত। সে কাউকে সাহায্য করতে চায় না, কিন্তু তার নতুন পার্টনার তাকে প্ররোচিত করে। এদিকে, গ্রিফিন নামের একজন বাজারের ১০০ পাউন্ড মাংস কেনেন। শুধু তাই নয়, বাজারের সব মাংস কিনে নিতে চান তিনি। অন্যদিকে, আরেক গ্রাহক মাংস কেনার জন্য রীতিমত লড়াই করে পায় না।  নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রিফিনকে আটক করার পর সে জানায় তার পোষা প্রাণীর জন্য মাংসের প্রয়োজন। অফিসাররা তাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি জোর করেন। তার পোষা বিড়ালকে খাওয়ানো দরকার বলে জানান এবং বলেন, তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে একজন বৃদ্ধ ও একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার রয়েছেন যারা সরে যেতে অস্বীকার করছেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ
অফিসারকে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনে তারা গ্রিফিনকে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে রাজি হয় যাতে সে তার পোষা প্রাণীকে খাওয়াতে পারে এবং ভবনের সবাইকে সরিয়ে নেয়া যায়। অবসরপ্রাপ্ত অফিসার রায় কে সরিয়ে নেয়ার জন্য গেলে তিনি পুরোপুরি যেতে অস্বীকার করেন। যদিও তার মেয়ে ট্রয় সেখানে আছে এবং একজন ডাক্তারও আছে। তিনি আশঙ্কা করছেন যে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস মেশিন কাজ করবে না। রায় জানান, তিনি এক বছর আগে পুলিশ সম্পর্কিত একটি ঘটনা থেকে কার্ডিলোকে চেনেন। কার্ডিলো ট্রয়কে নীচে বৃদ্ধের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যান। জানতে পারেন যে তার নাম পল বার্গক্যাম্প এবং তিনি নিজের বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করছেন। বার্গক্যাম্পকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করার সময় কার্ডিলো প্রত্যক্ষ করেন যে বিল্ডিং সুপারিনটেনডেন্ট জন একজনকে গুলি করে হত্যা করে। ট্রয় এবং বার্গক্যাম্প গ্রিফিনের অ্যাপার্টমেন্টে সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার জন্য পথ পেয়ে যায়। এরপর চলতে থাকে রুদ্ধশ্বাস অবস্থা। একদিকে ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, অন্যদিকে ডাকাতদের আক্রমণ। পুলিশ কি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিবে নাকি ডাকাতদের মোকাবেলা করবে!

দ্য রেন্টাল
চার্লি ও তার স্ত্রী মিশেল, ভাই যশ এবং ব্যবসায়িক পার্টনার মিনা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে সমুদ্র তীরবর্তী একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। বিচ্ছিন্ন জায়গাটায় আশেপাশে আর কোন বাড়ি ঘর নেই। বাড়ির কেয়ারটেকার টেইলর রূঢ় স্বভাবের। মিনাকে দেখে এমন মন্তব্য করে যা খুব বিরক্তিকর। টেইলর যাওয়ার পর মিনা, যশ, চার্লি উপরে যায় আর মিশেল ঘুমাতে যায়। যশ আলাদা হওয়ার পর চার্লি ও মিনা একসঙ্গে শাওয়ারে যায় এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। যশ মিশেলকে জানায়, চার্লি এর আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করেছে এবং প্রতারণা করেছে। এতে চার্লির প্রতি সন্দেহ তৈরি হয় মিশেলের। পরদিন সকালে মিনা এবং চার্লি একে অন্যকে কথা দেয় তারা আর ঘনিষ্ঠ হবে না। এদিকে, বাথরুমের উপরে একটি ছোট ক্যামেরা আবিস্কার করে এবং চার্লিকে বিষয়টা জানায়। দু’জনেই মনে করে কেয়ারটেকার টেইলর ক্যামেরাটা বসিয়েছে এবং তাদের ঘনিষ্ঠতার দৃশ্যধারণ করেছে। মিনা পুলিশকে জানাতে চাইলে চার্লি তাকে থামায়। পুলিশ তদন্ত করতে আসলে মিশেল এবং যশ তাদের গোপন ফুটেজ দেখে ফেলবে তাই পুলিশকে জানাতে চায় না। পরদিন সকালে তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

রাতে মিনা ব্যক্তিগতভাবে টেইলরের সঙ্গে ক্যামেরার বিষয়ে কথা বলে। টেইলর অস্বীকার করে এবং সে পুলিশকে বিষয়টা জানাতে চায়। মিনা তাকে থামাতে চেষ্টা করে। হঠাৎ যশ এসে টেইলর মিনাকে আক্রমণ করেছে ভেবে তাকে মেরে আহত করে। ক্যামেরার বিষয়টা সবাইকে জানিয়ে দেয় মিনা। এরইমধ্যে মুখোশধারী একজন ভেতরে এসে টেইলরকে খুন করে চলে যায়। সবাই ভেবেছিলো দুর্ঘটনাক্রমে যশ খুনটা করেছে। মিশেল পুলিশকে খবর দিতে চায় কিন্তু চার্লি চায় না তার ভাই কারাগারে যাক। টেইলরের লাশটা গোপনে সমুদ্রে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে, চার্লি এবং মিনার গোপন ভিডিওটি টেলিভিশনে দেখে মিশেল। চলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলে চার্লি এসে তাকে থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। মিশেলের ফোন থেকে একটা মেসেজ পেয়ে মিশেলকে খুঁজতে বের হয় চার্লি। পথে মিশেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। যশ এবং মিনা তখন ভিডিও ফুটেজটি ধ্বংস করার চেষ্টা করছিলো। এ সময় যশ কারো আওয়াজ শুনতে পেয়ে বাইরে যায়। যেতে না যেতেই কেউ একজন ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুন করে তাকে। কে এই খুনি? কি তার রহস্য? এই রহস্যের জাল ছিন্ন করার ভয়ানক কাহিনী নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য রেন্টাল’।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ