স্টাইলের জন্য জয়ার একটি ছবি ও কতগুলো মন্তব্য

জয়া আহসানের ছবি মানেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নেটিজেনদের ভিন্নমাত্রার উত্তেজনা। একদল হামলে পড়ে নেতিবাচক মন্তব্য শুরু করে দেয়। এমন ধরনের মন্তব্য যেসব পুনরায় লিখন সম্ভব নয়। তবে একদল শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্ত এইসব মন্তব্যকে প্রতিরোধও করেন। কেউ কেউ আবার ‘কমপ্লিমেন্টস’ দিয়েও যান। যেমন এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘শুনেছি বয়স বাড়ে। কিন্তু আপনাকে দেখে মনে হয়,, মানুষের বয়স কমে। আপনাকে দেখে অনেক অনুপ্রেরণা পায় যে আমার ও দিন দিন বয়স কমতেছে।’

শুভ্রা নামের এক নারী জয়ার পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘তোমাকে দেখেই গরম ফিল করছি ! এটা কি শীত কাল বাবু ?’ মন্তব্যের পাশে তিনি হার্ট ইমোজি ব্যবহার করেছেন। এরপর ওই নারীকেই মন্তব্য দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে নেটিজেনরা। তাকে মন্তব্য দিয়েই সমকামী বানিয়ে দিচ্ছেন এক এক জন।

অবশ্য একজন এসে অন্যভাবে বলেছেন, ‘স্যরি টু সেয়… একটা ছেলে এই টাইপ কমেন্ট করলে আপ্নারা শট তুলে পটেনশিয়াল রেপিস্ট ট্যাগ লাগিয়ে সবাইকে দেখাবেন….. মেয়ে হয়ে আগে আরেকটা মেয়ে কে সম্মান দিতে শিখুন.. ধন্যবাদ’

ফেসবুক প্রোফাইল যাচাই করে দেখা গেছে, জয়ার ছবির নিচে বাজে মন্তব্যকারীরা অধিকাংশই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যেমন ফয়সাল চৌধুরী নামের এক তরুণ থাকেন থাইল্যান্ডে। চট্টগ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল খুবই নোংরা ভাষায় মন্তব্য করেছেন।

এসবভ মন্তব্যকে প্রতিরোধও করছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। যেমন রহমান মতি নামের এক তরুণ লিখেছেন, ‘সাইবার বুলিং যাদেরকে বেশি করা হয় জয়া তাদের একজন। ‘ট্রল’ ওয়েব ফিল্মের মতো এদেরকে কেউ যদি শায়েস্তা করত খুশি হতাম।’

মুর্শিদ নামের একজন লিখেছেন, এরা নিজেদের কেই সম্মান করতে জানেনা তাহলে অন্যদের সম্মান করবে কিভাবে? অথচ জয়াকে নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিৎ।

অবশ্য জয়ার কিছু শক্ত ধরনের ভক্ত রয়েছে যারা নিজেদের মতো বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। যেমন এক নেটিজেন, লিখেছেন, ‘আপি একটা কথা বলি শুটিং সময়ে নিজেকে একটু সাবধানে রাখতে হবে এবং সময় মতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে যাতে নিজের কোন অযত্ন না হয়। শুটিং করার আগে বাসা থেকে খাবার খেয়ে বের হতে হবে।বাসার খাবারটাই বেস্ট মনে হয়।আর হে আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আর আল্লাহ চাইলে একদিন না একদিন আপনার সাথে দেখা হবেই। আমি জানি এই পোস্ট টা অনেকেই পরবে।এবং নানা ধরনের কথা বলবে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। ধন্যবাদ সবাইকে।’

জয়া নিজের এই ছবিটি পোস্ট করে  লিখেছেন, যখন কোনো বিষয় স্টাইলের জন্যই আসে, তখন সবসময় প্রবৃত্তির ওপর আস্থা রাখতে হবে।