স্কুলে ফিরেছে ইউরোপের ৩ দেশের শিক্ষার্থীরা

ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও রাশিয়ার কয়েক কোটি শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরেছে মঙ্গলবার। স্কুলব্যাগের সঙ্গে করোনার সংক্রমণ রোধে তাদের সঙ্গে থাকছে মাস্ক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্কুলগুলোতে নতুন করে হাত জীবাণুমুক্ত করার স্থান, সামাজিক দূরত্ববিধি ও খেলার ভিন্ন সময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার ব্যাপক সংক্রমণের শিকার ইউরোপের দেশগুলো এখন তাদের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ফের শুরু করতে চাচ্ছে। তবে এমন সময় তারা স্কুল ও অফিস খুলছে যখন অঞ্চলটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। রাশিয়ায় ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। শরতে সর্দির মৌসুম শুরু হওয়ায় আগামী শীতে করোনার দ্বিতীয় দফা প্রাদুর্ভাবের শঙ্কা রয়েছে। তাই ফ্রান্স ও স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশে অভিভাবক ও শিক্ষকরা এই মুহূর্তে স্কুল খোলার প্রতিবাদ করছেন।

অবশ্য স্কুলগুলোতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্কুল খোলার দায়ভার স্পেনের ১৭টি অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব হলেও তাদেরকে জাতীয় বিধিবিধান মানতে হবে। এই বিধিবিধানের অন্যতম হচ্ছে, ছয় বছরের উপরের শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া স্কুলগুলোতে বেঞ্চের দূরত্ব বাড়ানো হচ্ছে এবং হাত জীবাণুমক্তকরণের পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোনডা এলাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলের পরিচালক মাদার মার্তা বলেন, ‘আমরা যা পারছি তার সবকিছুই করছি।’

অবশ্য সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস গেব্রিয়াসাস আধানম বলেছেন, ‘আমরা শিশুদের স্কুলে এবং মানুষদের কর্মস্থলে ফেরা দেখতে চাই। তবে আমরা এটা নিরাপদে হওয়া দেখতে চাই।’