সৌরভের প্রস্তাব মানতে রাজি নয় অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে অপারগ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। তাদের অপরাগতার কারণেই শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ এক বছর পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে আইসিসি। কিন্তু সেই অস্ট্রেলিয়াই আবার ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতকে নিয়ে আয়োজন করবে হোম সিরিজ, যার নাম বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি।

ঠিকই সেই সিরিজ আয়োজন করা হবে এবং ভারতও রাজি সেই সিরিজ খেলতে যেতে। তবে, সেই সিরিজ নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও ব্যাপারটা খুবই সাময়িক।

করোনাভাইরাসের কারণে সিরিজ খেলতে যেতে হলে, অস্ট্রেলিয়া গিয়ে অন্তত ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। যেমনটা ইংল্যান্ডে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে। ভারতকেও থাকতে হবে।

কিন্তু বাধ সেধেছেন বিসিসিআই সভাপতি, সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বিরাট কোহলিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি মানতে রাজি নন। এ নিয়ে বিসিসিআই সভাপতি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টাইনের সময়টা কমিয়ে আনার জন্য।

কিন্তু বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের এই অনুরোধ রাখতে রাজি নয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে টানা ১৪ দিনই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বিরাট কোহলিদেরকে।

করোনার আতঙ্ক উপেক্ষা করেই সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে নেমে পড়েছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানও রয়েছে মাঠে নামার অপেক্ষায়। কিন্তু বিরাট কোহলিরা? তাদের কবে দেখা যাবে বাইশ গজে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

তবে এরই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বস্তি দিয়ে বিসিসিআই জানিয়েছে, ডিসেম্বরেই মাঠে নামতে যাবে ভারতীয় দলকে। কারণ, করোনার পর ডিসেম্বরেই প্রথম মাঠে নামবে তারা। তবে তার আগে সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি চেয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে ভারতীয় দলকে আর একটু কম সময় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হোক।

কেন? সৌরভের ব্যাখ্যা, ‘আসলে দু’সপ্তাহ ধরে ক্রিকেটাররা হোটেলের ঘরে বসে থাকবে, সেটা আমরা চাচ্ছি না। তাতে সবাইকেই হতাশা গ্রাস করতে পারে।’

কিন্তু সৌরভের এই অনুরোধকে আমল নিচ্ছে না অজি বোর্ডের নয়া সিইও নিক হকলি। বরং তিনি দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজনের কথাই তুলে ধরেছেন। সে সঙ্গে এও জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টাইনে ক্রিকেটারদের ঘরবন্দি থাকতে হবে না। তারা অনুশীলন করতে পারবেন।

একটি সংবাদমাধ্যমকে নিক বলেন, ‘দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন খুবই দরকার। আমরা চেষ্টা করছি, অত্যাধুনিক অবকাঠামো ব্যবস্থা করার যাতে ওই সময়ও প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকতে পারেন ক্রিকেটাররা। এতে ম্যাচে নামতে সমস্যা না হয়। অবশ্যই চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মেনেই সমস্ত বন্দোবস্ত করা হবে।’

যদিও ক্রিকেটারদের একই হোটেলে রাখা হবে, নাকি ভেন্যুর কাছাকাছি একাধিক হোটেলে ভারতীয়দের থাকার ব্যবস্থা করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সিএ (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে নিকের কথায় স্পষ্ট, সফরকারী দলকে সুরক্ষিত ও ফিট রাখার সবরকম পরিকল্পনাই শুরু হয়ে গেছে।