সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রির তদন্ত করায় পররাষ্ট্র মহাপরিদর্শককে বরখাস্ত ট্রাম্পের

সৌদি আরবের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রির তদন্ত করার কারণেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শক স্টিভ লিনিককে বরখাস্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দেশটির একজন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা সোমবার এমন দাবি করেছেন। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, লিনিকের কাজ-কারবার মন্ত্রণালয়কে ছোট করছিল বিধায় তার অপসারণ চাওয়া হয়েছে।-খবর রয়টার্সের

শুক্রবার হাউস স্পিকার ন্যানসি পেলোসিকে লেখা এক চিঠিতে লিনিককে পরিকল্পিতভাবে সরানোর ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি তার বরখাস্তের শিকার হওয়া চতুর্থ সরকারি মহাপরিদর্শক হলেন লিনিক। ওয়াশিংটন পোস্টকে মাইক পম্পেও বলেন, লিনিককে বরখাস্ত করতে ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি আমি।

যদিও কেন তাকে বরখাস্ত চাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো কারণ প্রদর্শনের দরকার নেই।

কিন্তু তার এই কথা কংগ্রেসের পরিদর্শক সাধারণ আইনের ব্যাখ্যার সম্পূর্ণ বিপরীত। পম্পেও বলেন, আমি প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে পরিষ্কার করেছি যে আমরা যেভাবে চাচ্ছি, তিনি সেভাবে কাজ করছেন না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত ফাঁস হওয়ার ঘটনার পর লিনিককে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। যদিও এ জন্য তিনি দায়ী বলে কোনো প্রমাণ নেই।

প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান ইলিওট এঞ্জেল ও সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য বব মেনানডেজ বলেন, আট বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করার পথ পরিষ্কার করতে গত বছর জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল ট্রাম্প— যা নিয়ে তদন্ত করছিলেন লিনিক। এসব অস্ত্রের অধিকাংশই বিক্রি করা হয়েছে সৌদি আরবের কাছে।

লিনিকের অপসারণ নিয়ে একটি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন এঞ্জেল ও মেনানডেজ। এক বিবৃতিতে এঞ্জেল বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে লিনিককে বরখাস্তের ভিন্ন কারণ রয়েছে।

‘ট্রাম্প যাতে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পারেন, সেই পথ পরিষ্কার করতে তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। আমার পরামর্শে সেই ঘটনার তদন্ত করছিলেন লিনিকের কার্যালয়।’

কংগ্রেস কর্মীরা বলেন, সরকারি বেতনে নিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দিয়ে পম্পেও নিজের ও স্ত্রীর ব্যক্তিগত কাজ করিয়েছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের তদন্ত করছিলেন লিনিক।

আর ট্রাম্প বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। তাকে বরখাস্ত করাই ঠিক হয়েছে। আমি কেবল তার থেকে মুক্ত হয়েছি।