সৌদিতে কুলসুম হত্যায় রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও সহযোগী আটক

সৌদি আরবে চাকরি করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনে মৃত কিশোরী উম্মে কুলসুম (১৪) রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মকবুল হোসাইন ও তার সহযোগী তারেককে আটক করেছে র‌্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর ফকিরাপুলে মেসার্স এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই রিক্রুটিং এজেন্সির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে র‌্যাব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে উম্মে কুলসুমকে স্থানীয় দালাল রাজ্জাক মিয়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১৭ মাস আগে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠানো হয়। নির্যাতনের কারণে পরিবার কুলসুমকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি পরিবার।

জানা গেছে, চাকরির আশ্বাসে সৌদি আরবে পাঠানো হলেও সেখানে গিয়ে এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়া হয় তাকে। এরপর নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। সৌদি আরবে গৃহকর্তা ও তার ছেলে মিলে কুলসুমের দুই হাঁটু, কোমর ও পা ভেঙে দেয়। এর কিছুদিন পর একটি চোখ নষ্ট করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

মোবাইল ফোনে পরিবারকে আগেই নির্যাতনের কথা জানিয়েছিল কুলসুম। জানুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় এক নার্সের মোবাইল ফোন থেকে সর্বশেষ কল করে কুলসুম। প্রায় সাড়ে তিন মিনিটের এক ভিডিও কলে দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে উম্মে কুলসুম। নিয়োগকর্তা তাকে নির্যাতন করে পা ভেঙে দিয়েছে বলে সে জানায়। সে আর হাঁটাচলা করতে পারছে না। ওই ভিডিও কলে সে কোমর থেকে নীচের অংশের আঘাতের চিহ্নও দেখায়।

গত ৯ আগস্ট সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিশোরী উম্মে কুলসুম (১৪)। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে কুলসুমের মরদেহ দেশে আনা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ