সোয়ারিঘাটে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণ এলাকায় আতঙ্ক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট এলাকায় অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার ( সেপ্টেম্বর ০৩)  রাত আটটা ২৭ মিনিটে সোয়ারিঘাটের চম্পাতলী লেনের একটি বরফ কারখানায় ব্যবহৃত অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডারের চাবি ঢিল হয়ে পড়লে এই গ্যাস নিঃসরণ শুরু হয়। এ সময় নিঃসরিত গ্যাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাসের প্রভাবে কারখানার পাশের ভবনের চারতলার এক পরিবারের শিশুসহ ৩জন অসুস্থ হয়ে পড়ে।

 

তাদের অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

 

শনিবার দিবাগত রাতে চম্পাতলী লেনের ৯/১ লেনের ওই বরফ তৈরির কারখানায় গেলে সেখান বাসিন্দা রাইয়ান বলেন, মসজিদ থেকে বরফ কারখানায় গ্যাস নিঃসরণের খবর জানিয়ে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে ঘর থেকে বাইরে আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

আরেক বাসিন্দা আলম বলেন, কারখানার মিস্ত্রী গ্যাস ছাড়ার জন্য চাবি ঢিল দিলে অতিরিক্ত গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে সেটি আর কন্ট্রোল করতে না পারায় তা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। স্থানীয়রা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্যাস নিঃসরণ বন্ধের কাজ শুরু করে।

 

লালবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন আহমেদ বলেন, স্মোক ইজেকশন মেশিন দিয়ে কারখানার ভেতর থেকে গ্যাস বের করে দেওয়া হয়েছে। গ্যাস নিঃসরণের ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, নিঃসরিত গ্যাসে পাশের বাসার এক পরিবারের শিশু ও তার মা বাবা আহত হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই।

 

পুরান ঢাকার চম্পাতলী লেনের ওই বরফ কারখানার মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও তার ম্যানেজার স্বপন এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

সূত্র: বাংলা নিউজ