সেবার জন্য নয়, গণস্বাস্থ্য এখন করোনার নমুনা নেবে গবেষণা করতে

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে রেপিড ডট ব্লট কিটের সক্ষমতা যাচাই চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। এ পরীক্ষায় সফলতা পেলে চূড়ান্ত রেপিড ডট ব্লট কিট ব্যবহারের অনুমোদন দেবে ওধুষ প্রশাসন অধিদফতর। তারপরই গণস্বাস্থ্য তাদের উদ্ভাবিত কিট সবার করোনা পরীক্ষায় ব্যবহার করতে পারবেন, তার আগে নয়।

তবে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) অনুমোদন দেয়ায় গবেষণা কাজের অংশ হিসেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অভ্যন্তরীণ গবেষণা কাজের (ইন্টারনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) অংশ হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে। এর অংশ হিসেবেই আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করোনার লক্ষণ আছে এমন ৫০ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবে গণস্বস্থ্য কেন্দ্র।

সোমবার (২৫ মে) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জি আর কোভিড ১৯ রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। ২৬ মে থেকে যে কেউ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনা শনাক্ত করতে পরীক্ষা করতে পারবে এমন সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের জি আর কোভিড ১৯ রেপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষা শুরু করবে বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। বিএমআরসি অনুমোদিত জি আর কোভিড-১৯ রেপিড ডট ব্লট কিটের অভ্যন্তরীণ গুণগত মান পরীক্ষার (Internal Validation ) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে আগামী ২৬ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ আছে এমন ৫০ জনের কাছ থেকে বিএমআরসি অনুমোদিত নিয়মে আগে আসলে আগে নেয়া হবে এই ভিত্তিতে লালা (Saliva) ও রক্ত (Blood) উভয় বা যেকোনো একটি নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এই নমুনা সংগ্রহ গবেষণার অংশ, কোনো সেবা বা রোগ নির্ণয়ের অংশ নয়।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারকে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) অনুমতি আছে যে, গবেষণা কাজের জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে পারব এবং ইন্টারনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ব্যবহার করতে পারব। তারই অংশ হিসেবে এই নমুনা নেয়া হচ্ছে। এ জন্য আমরা কিছু করোনা পজেটিভ, নেগেটিভ স্যাম্পল সংগ্রহ করতে পারি। এটা আমাদের প্রটোকলে আছে। ওটারই অংশ হিসেবে আমরা কাজ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যে ট্রায়াল চলছে, সেটা শেষ হলে ডিজিডিএ’র (ওধুষ প্রশাসন অধিদফতর) একটা অনুমোদন পেলেই আমরা সেবায় কিট ব্যবহার করতে পারব। এই মুহূর্তে কিছুটা বাইন্ডিংস (নিষেধ) রয়ে গেছে। আশা করি ঈদের পরে হয়ে যাবে (অনুমোদন)।’