সেনাবাহিনী নিজেদের রেশনের অংশ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দরিদ্রদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যমান লকডাউনের কারণে দেশের দিনমজুর শ্রেণীর মানুষগুলো কর্মহারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে এরই মধ্যে তাদের সঞ্চয়টুকুও ফুরিয়ে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সহায়সম্বলহীন দিনমজুর শ্রেণীর মানুষের পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নিজের জন্য বরাদ্দকৃত রেশনের একটি অংশ নিয়ে বস্তিবাসীর মাঝে বিলি করছেন।

এছাড়া তারা রাজশাহী জেলায় পথঘাট-পাড়ামহল্লাসহ বাজারগুলোতে সাধারণ মানুষের শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজশাহীর একটি সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রতিমাসে বরাদ্দ থাকে রেশন (খাদ্যসামগ্রী)। সেই রেশন থেকে তারা নিজেদের জন্য কম গ্রহণ করছেন।

আর সেই অংশটি পর্যায়ক্রমে দেশের হতদরিদ্রদের মাঝে বিলি করা হচ্ছে। রাস্তা-বাজারসহ পাড়া মহল্লায় টহলের পাশাপাশি তারা বেছে বেছে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের খুঁজে বেরকরছেন। এরপর তাদের গাড়িতে থাকা খাদ্যসামগ্রীর প্যাটেক ওই সকল দুস্থদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

খাদ্রসাগ্রীর মধ্যে রয়েছে, ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আটা, এক লিটার তেল, আলু, ডাল। এছাড়া রয়েছে সাবান ও মাস্ক। এরই মধ্যে তারা দেশের ৬ হাজারের বেশি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই প্রথম নিজেদের ফাণ্ড থেকে সরকারের ত্রাণ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। এদিকে সোমবার রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বস্তিতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সেনাবাহিনীর টহল টিম। এসময় তারা ভদ্রা বস্তিসহ বিভিন্ন বস্তির ৩০০ পরিবারের ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। রাজশাহী নগরীতে টহল টিমের দায়িত্বে থাকা মেজন রিয়াজ জানান, প্রতিদিন সেনাসদস্যদের পক্ষ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ দরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হচ্ছে।

যা পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে ১হাজার ৪০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম আগামীতেও চলবে। তিনি জানান আর্মি ট্রেনিং এ্যন্ড ডক্টরিং কমান্ড এর অধিনে বাংলাদেশ ইনফেন্টি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অধিনস্থ’ সদস্যদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত রেশন থেকে কম গ্রহণ করছেন। আর সেই অংশটুকুই দেশের দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।