রবিবার , ২৮ জুলাই ২০২৪ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সেই শিক্ষক ও জাবি প্রশাসনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

Paris
জুলাই ২৮, ২০২৪ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় অব্যাহতির ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে একটি বিষয়ের তদন্ত চলমান থাকায় সম্ভাব্য শাস্তির আশঙ্কায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করা হয়।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জাহিদুল করিম। তিনি বলছেন, অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করতে তৎকালীন উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামকে নিজেই অনুরোধ করেছিলেন জাহিদুল করিম। গেল চার বছরে কেন তদন্তের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সুপারিশ প্রদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫(ক) (২) উপধারা মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে জাহিদুল করিম তদন্তে শাস্তির আশঙ্কা থেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ‘উদ্দেশ্যমূলক ও দুরভিসন্ধি’ থেকে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কারণ হিসেবে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করেছেন। তার বিরুদ্ধে গঠিত আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলবে এবং তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জাহিদুল করিম বলেন, ২০২০ সালের ৪ মে আমি বিভাগীয় সভাপতি থাকাকালীন তৎকালীন এমবিএ চতুর্থ ব্যাচ (শিক্ষাবর্ষ: ২০১৭-১৮) পরীক্ষা কমিটির দায়িত্বে অবহেলা এবং অনিয়মের তদন্তে জন্য কমিটি গঠনের জন্য তৎকালীন উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামকে একাধিকবার অনুরোধ করার পরে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আমি উক্ত আবেদনের সাথে পরীক্ষা কমিটির অনিয়মের প্রমাণ এবং তথ্যসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি প্রেরণ করি। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম এই তদন্ত কমিটির প্রধান। যার বিরুদ্ধে পুরো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। আমার মতো শিক্ষক যারা প্রতিবাদী হয় তারা সব জায়গায় প্রতিবাদ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা কমিটি দোষী প্রমাণিত হওয়ার ভয়ে এতদিন উপাচার্য তদন্ত প্রতিবেদন গোপন করে রেখেছিলেন। উনি জানেন এইটা সামনে চলে আসলে আমি মিডিয়াকে সকল প্রমাণ দিয়ে দেব। আমি যখন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি- তিনি এখন এইটাকে আমার বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। আশা করি, মিডিয়া সকল সত্য উদ্ঘাটন করতে পারবে। চার বছর আগে আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করা তদন্ত কমিটি এতদিন আসল সত্য প্রকাশ করতে পারল না, আর এখন তারা প্রেস রিলিজ দিয়েছে। আরেকটু সময় নিচ্ছে কীভাবে অভিযোগপত্রটি নিজেদের মতো করে লেখা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি অনেক আগেই গঠিত হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তদন্তের কাজ চলমান আছে। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হঠাৎ তদন্তে তৎপর হয়নি।

এর আগে, গত ২৫ জুলাই সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম ই-মেইলের মাধ্যমে অব্যাহতিপত্র জমা দেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে চান বলে জানান। অধ্যাপক জাহিদুল করিম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করছেন।

সর্বশেষ - জাতীয়