সেই বৃদ্ধা মর্জিনার পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

‘মাকে রাস্তায় ফেলে গেলেন ছেলে’ এমন সংবাদ প্রকাশের পর খবর পেয়ে বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমের পাশে দাঁড়ালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ.কে.এম গালিভ খান। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ওই বৃদ্ধাকে তার মেজো মেয়ে নাসিমার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় পৌর এলাকার বলিগ্রামে (ডিসি) তিনি ওই বৃদ্ধাকে দেখতে যান। সেখানে তিনি তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিশেষ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ, চিকিৎসা সামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের ফল,  পোশাক, চাল, ডাল, আটা শুকনো খাবারসহ বৃদ্ধার সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নায়িমা হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর নাককাটিতলা গ্রামের মৃত সইবুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম ( ৮২ ), তার তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। গত শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা এলাকার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বালিগ্রামে মনিরুল ও তার স্ত্রী, মা মর্জিনা বেগমকে ছোট মেয়ে নাজমা বেগমের বাড়ির সামনে একটি জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়।

এ খবরে জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বৃদ্ধা মহিলার কাছে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। তাঁর ছেলে কীভাবে তাঁকে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে গেছেন, সেই কাহিনি বলেন। পরে আব্দুল হাকিমের হস্তক্ষেপে ঐ মহল্লার মেজো মেয়ে নাসিমার বাড়িতে আশ্রয় হয় মর্জিনা বেগমের। সে সঙ্গে সকল চিকিৎসার দায়িত্ব এবং ভরনপোষণের দায়িত্ব নেন আব্দুল হাকিম।

সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে জেলা প্রশাসক গালিভ খান বলেন, পিতা-মাতা হলো একটি ভালোবাসার জায়গা। যে সন্তান ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে ঘৃণিত অপরাধ করেছে। পিতা-মাতার প্রতি যে ভরণপোষণ ২০১৩ আইন আছে সে লংঘন করেছে। সে অবশ্যই আইনের আওতায় আসবেন যিনি আইন ভঙ্গ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি প্রধানমন্ত্রীর যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি রয়েছে সেখানে তার বয়স্ক ভাতার কার্ডও রয়েছে। আমরা তার জন্য কিছু সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এসেছি এবং বৃদ্ধার সকল দায়িত্ব নিয়েছি এবং জেলা প্রশাসন বৃদ্ধার পাশে থাকবে। তবে যে সন্তান এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করেছে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করি।

জি/আর