বুধবার , ১ জানুয়ারি ২০২০ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সুদহার ৯ শতাংশ কার্যকরে সরকার কঠোর অবস্থানে: অর্থমন্ত্রী

Paris
জানুয়ারি ১, ২০২০ ১০:৫৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ ও আমানতের সুদ ৬ শতাংশ বাস্তবায়নে সরকার কঠোর হবে।

তিনি বলেন, ‘এটা আমিও ফিল করি যে, ওভারনাইট অথবা ৩ বা ৬ মাসের ভেতরে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। কিন্তু উপায় ছিল না। এটা না হলে শিল্পায়ন হবে না। এ দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো যাবে না। এটি এপ্রিল থেকেই বাস্তবায়ন হবে।’

বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

১ জানুয়ারি থেকে শিল্প ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়নের কথা ছিল। বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিকে এটি ফেইজ ওয়াইজ বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শুধু মেনুফ্যাকচারিং খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করলে অনেক শিল্প বাদ পড়বে। পরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সফলতা পেতে হলে সব ঋণগ্রহীতাকে এ সুবিধা দিতে হবে। ঋণগ্রহীতা যা করবেন তাতেই দেশের লাভ হবে। ব্যবসা বা শিল্প যাই হোক একটি সেলুন করলেও লাভ হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সব খাতের জন্য সুদের হার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে হবে। সে কারণে কয়েক দিন সময় লাগবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা বলেছেন, আগের আইডিয়ার সঙ্গে বর্তমান আইডিয়া ভিন্ন। পাশাপাশি আমাদের কিছু স্বল্পমেয়াদি ডিপোজিট আছে। যেগুলো ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ম্যাচিউর করবে। এজন্য সুদের হার ৯ শতাংশ কার্যকর করতে ৩ মাস সময় চেয়েছেন। তবে এটি তারা বাস্তবায়নে একমত, এটা বাস্তবায়ন করা উচিত বলেও জানিয়েছেন। এজন্যই তাদের ৩ মাস সময় দিয়েছি। এপ্রিল থেকেই আশা করি এটি বাস্তবায়িত হবে।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এটা অলরেডি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, সার্কুলার ইস্যু না করলেও তারা (ব্যাংকাররা) এটি বাস্তবায়ন করবেন। তারাও তো সরকারের অংশ। সুতরাং এটা করবেন।’

সবক্ষেত্রে কি ডিপোজিট ৬ শতাংশ হবে এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিপোজিটের জন্য কোনো ব্যাংক কাউকে ৬ শতাংশ সুদের বেশি অফার করতে পারবে না। সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ায় যিনি ব্যাংকে টাকা রাখেন তাকেই ব্যাংকে টাকা দিতে হয়। আমাদের মতো দু-একটি দেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে হয়তো আপনি দু-তিন পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট পাবেন, এর বেশি না। কিন্তু আমাদের যে কোনো কারণেই হোক ডিপোজিটে বেশি সুদ দেয়া হয়। এটা আর সইতে পারছি না। সে কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যদি সরকারি ও বেসরকার উভয় ব্যাংকে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদহার ৬ শতাংশ করে দেয়া হয় তাহলে সবাই সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখবে। তাই সরকারি ব্যাংকে ডিপোজিটের সুদহার হবে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ৬ শতাংশ। যদি দুই জায়গায় ৬ শতাংশ করি তাহলে বিভিন্ন কারণে সবাই চলে যাবে সরকারি ব্যাংকে। এজন্য এক্ষেত্রে আধা পার্সেন্ট গ্যাপ রাখছি।’ এর আগেও এটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করেনি ব্যাংকগুলো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকাররা যদি ৬ শতাংশ সুদে ডিপোজিট পায় তাহলে ৯ শতাংশে ঋণ দিতে পারবে না কেন? আগে করেনি, সেজন্য সরকার এবার অনেক বেশি স্ট্রিক্ট (কঠোর)। আগে তাদের (ব্যাংকগুলোর) ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, কেউ বাস্তবায়ন করেছে, কেউ করেনি। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। সুতরাং এবার আমরা বলছি অপেক্ষা করব ৭ দিন তবুও বাস্তবায়ন করব।’

সর্বশেষ - জাতীয়