সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে সরকারি-বেসরকারি অফিস

লকডাউন বাড়বে কিনা সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যরা। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে আরও ১০ দিন লকডাউন বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ১০ দিন নয়, ৫ আগস্ট থেকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে বিধিনিষেধ। লকডাউন বাড়ানো হলেও সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

সোমবার বেলা ১১ টায় শুরু হওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্ব করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন।

করোনার সংক্রমণ কমাতে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কুরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। গত ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। শেষ ধাপের বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হলেও রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণার পর গণপরিবহণ বন্ধের মধ্যেই চরম ভোগান্তি নিয়ে শনিবার সকাল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধায় কিছু সময়ের জন্য লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও সোমবার এক অনুষ্ঠানে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বিধিনিষেধ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ আমলে নিয়েই ৫ আগস্টের পর কীভাবে বিধিনিষেধ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবারের সভা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা সুপারিশ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।’

কী কী বিষয়ে শিথিলতা আসতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে। আর গণপরিবহণ সীমিত পরিসরে চালু করা হতে পারে। রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা চালু রাখা হবে।’

এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর