বুধবার , ১৭ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সিরিজ বোমা হামলার ১১ বছর

Paris
আগস্ট ১৭, ২০১৬ ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ১১ বছরেও ৬৩ জেলায় একযোগে প্রায় ৪শ স্থানে জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলার সব (১৬১) মামলার বিচার সম্পন্ন হয়নি। যে হামলায় নিহত হয়েছিলো ৩৩ জন।

 

তবে ১৬১টি মামলার মধ্যে শতাধিক মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শরীয়তপুরে হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি এবং আপিল বিভাগে ঝিনাইদহে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২১ জঙ্গির মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

 

২০০৫ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ১৭ আগস্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলায় নিহত হন বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন। আহত হন চার শতাধিক নারী-পুরুষ।

 

এ ঘটনার দুই বছর পরে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ রাতে জেএমবি’র শীর্ষ পর্যায়ের ছয় নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম, খালেদ সাইফুল্লাহ, আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল ও ইফতেখার হাসান আল মামুনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

 

সিরিজ বোমা হামলার পাঁচ বছর পর ২০১০ সালে জেএমবি’র সব কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপর মহাজোট সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত সেই জঙ্গি সংগঠনটি এখনও গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

মঙ্গলবারও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী আকলিমা রহমান, মৌ ও মেঘনা এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ঐশী- চার নারী জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।

 

উচ্চ আদালত
শরীয়তপুরের পালং থানার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার জঙ্গি মালেক হোসেন ওরফে মালেক জিহাদি এবং ভেদরগঞ্জ থানার কামরুজ্জামান ওরফে স্বপনের আপিল, ডেথ রেফারেন্স বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো.জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বিচারিক আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। গত বছরের ০৬ ডিসেম্বর থেকে তাদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঝিনাইদহের সদরে বোমা হামলার মামলায় ২১ জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারিক আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ২১ জনের মধ্যে ১৪ জনকে যাবজ্জীবন এবং সাতজনকে খালাস দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। বর্তমানে এ আপিল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। হাইকোর্টের রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হচ্ছেন- ঝিনাইদহের শিকারপুরের মনিরুল ইসলাম ওরফে মোখলেস, একই গ্রামের মো. নছরুল্লাহ ওরফে শান্ত, কালিগঞ্জ থানার কাজী রোকনুজ্জামান ওরফে মিথুন, সদর উদ্দিন ও জহুরুল আল মামুন, ঝিনাইদহের সদর থানার মোহন, মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন, মুহিদ, মোজাম্মেল, তুহিন রেজা, সবুজ আলী ওরফে সবুজ, আমিরুল, বিল্লাল হোসেন ও শৈলকুপা থানার ফারুক হোসেন।

 

এ মামলায় হাইকোর্টে খালাস পাওয়া সাত আসামি হচ্ছেন- ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার রবজেল হোসেন ওরফে রবজেল, আজিজুর রহমান, ইউনুস আলী, আজিম উদ্দিন, গাইবান্ধার আবু তালেব আনসারী, খুলনার রূপসা থানার তরিকুল ইসলাম ও গাইবান্ধার মতিন মেহেদি ওরফে মতিনুল ইসলাম।

সূত্র: বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - আইন আদালত