সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে

সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। জেলা সদর ছাড়াও কাজিপুর ও বাঘাবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এই নদীর পানি।

সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদীর পানিও বাড়ছে। এতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি। চরাঞ্চলের বাড়িঘরেও উঠতে শুরু করেছে পানি। অপরদিকে বেশ কিছু স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪৯ মিটার।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৩.৩৫ মিটার)। কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে (বিপৎসীমা-১৫.২৫ মিটার)।

অপরদিকে বাঘাবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১০.৪০ মিটার)। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ফুলজোড় নদীর পানি ঘাটিনা পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮৩ মিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ, খন্দকার সুলতান মাহমুদ ও মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত দেড় সপ্তাহ ধরে ভাঙনে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে জেলার অন্তত ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার একর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, গত কয়েকদিনে অব্যাহত পানি বাড়ার ফলে নিম্নাঞ্চলের ২ হাজার ৭৪৯ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন, বোনা আমন, আগাম সবজি, আখ বীজতলা ও বাদাম রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টেই যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি বাড়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পানি বাড়া অব্যাহত থাকবে বলে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে। – সূত্র: বাংলানিউজ