সিদ্ধান্ত না হলে আমরা নিজেরাই দোকান খুলবো: রাজশাহীতে ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


‘আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ডিসি সাহেবের সাথে কথা বলেছি। আলোচনা করে কালকে জানাবেন। আর আপনাদের অনুরোধ করছি, আমরা যে টাইমে (সময়) দোকান খুলি কালকে আপনারা উপস্থিত হবেন। যদিও কোন রকম দোকান খোলার সিদ্ধান্ত না হয়- আমরা সবাই নিজে নিজে দোকান খুলে ফেলবো।’ হ্যান্ড মাইকে এসব কথা বলেন- গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কাজল।

ভিডিওটি দেখুন: সিদ্ধান্ত না হলে আমরা নিজেরাই দোকান খুলবো: রাজশাহীতে ব্যবসায়ীরা

এর আগে আজ সোমবার ( ৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের রাস্তায় নেমে পড়েন। পরে ব্যবসায়ীদের সাথে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। এতে ব্যবসায়ীরা রাস্তা থেকে ফিরে যায়।


No description available.


এসময় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলামকে বলেন- আমানা, মেলাসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। এই কথা উত্তরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম বলেন- যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রেখেছে, সেগুলো বন্ধ করা হবে।

এর আগে রাজশাহীতে দোকান খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ব্যবসায়ীরা। রাজশাহী কাপড় পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান- গতবছর লকডাউনের কারণে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঠিক মতো ঈদ করতে পারেনি। লকডাউন চলছে চলুক, আমাদের একটা সময় বেধে দিলে ভালো হবে।


No description available.


বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মন জানান- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম এসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন। ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো শুনেছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের কথা গুলো সরকারের উপর মহলে জানাবেন এমন আশ্বাস দেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার জানানো হবে। বর্তমানে রাস্তা থেকে ব্যবসায়ীরা চলে গেছেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান- সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে দোকানপাট খোলা রেখে স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবসা করবো। আমাদের জন্য কোন হয়রানির শিকার হতে না হয়।



তারা দাবি জানায়- বিগত লকডাউনের সময় সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা অর্থ আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কেউই পাইনি, পেয়েছেন হাতে গোনা কিছু শিল্পপতিরা। যদি হাজার হাজার শ্রমিক সহ বড় বড় শিল্প কলকারখানা সীমিত আকারে চলতে পারে তবে আমরা কেন আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারবনা? আমরা ব্যবসায়ীরা মাস্ক ছাড়া কোন ধরনের পণ্য বিক্রি করবো না। এই সংবাদিক সম্মেলনের পরেও যদি নীতি নির্ধারকদের বোধ না হয়-তাহলে ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নামবে। আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে চাই। করোনার বিগত বছরে যে আমাদের ক্ষতি হয়েছে তার কোন ভাবে পোষানো সম্ভব নয়। এবছরও একই ভাবে সরকার লকডাউন দিয়ে দোকানপাট বন্ধ করছে- তাতে আমাদের ব্যবসায়ীক ক্ষতি আরও বাড়বে।

স/আ