সিংড়ায় আ’লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাবেক এমপি পুত্র আহত

সিংড়া প্রতিনিধি
আগস্টের শোক দিবসের সভা ও সুকাশ ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিংড়ার সাবেক এমপি ইয়াকুব আলীর পুত্র আশিক ইকবাল (৪৬) কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে আ’লীগের কর্মীরা । শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের রনবাঘা বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জন হামলাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পাশবতী নন্দীগ্রাম থানায় দিয়েছে স্থানীয় জনতা। আর আ’লীগ নেতা আশিক ইকবালকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কতব্যরত চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সূত্রে জানা যায়, গত ২৬আগস্ট সিংড়ায় ১৫ ও ২১ আগস্ট নিহত শহীদদের স্মরণ সভার আয়োজন করে সিংড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। সেই স্মরণ সভায় সাবেক এমপি পুত্র আশিক ইকবাল এর নেতৃত্বে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকমীরা উপস্থিত হন। এতে সুকাশ ইউনিয়নের আ’লীগ নেতাকমীদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় রনবাঘা মাছ বাজারে আশিক ইকবাল এর উপর হামলা চালায় আ’লীগের কর্মীরা। এসময় হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা এবং হাত ও পায়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম কর। পরে স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে হাশেম, মুন্নাফ ও রবিউল নামের ৩ আ’লীগ কর্মীদের আটক করে পুলিশে দেয়।

এদিকে তাৎক্ষনিক আটককৃতরা স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়ে বলেন, এই ঘটনার মূল হোতা সুকাশ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম মো. হাসমত আলী।
তবে সুকাশ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম মো. হাসমত আলী বলেন, তিনি কোন ভাবেই এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। আমাকে হেয় করতেই পরিকল্পিতভাবে আটককৃতদের কাছ থেকে আমার নাম স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে।

সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শিরিন আকতার সেতু বলেন, আহত ব্যক্তির মাথার চান্দি কেটে বেশ ডিপ হয়েছে। এছাড়ার হাত-পা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে সিংড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, দুর্বৃত্তরা সামনের দিনের রাজনীতিকে কলুসিত করতে যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারই এটা প্রতিফলন।

তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. ওহিদুর রহমান শেখ বলেন, গ্রাম্য একটি কোন্দলকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোন শোক দিবসের সভা নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে নি। সিংড়া থানার ওসি নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি সিংড়ার পাশবতী নন্দীগ্রামের মধ্যে ঘটেছে। তাই বিষয়টি নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ দেখছে।

স/আ.মি