সাময়িক নিষিদ্ধ ১০০ মিটারের চ্যাম্পিয়ন কোলম্যান

টানা তৃতীয়বার ডোপ টেস্টে হাজির না হওয়ায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ক্রিস্টিয়ান কোলম্যানকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে অ্যাথলেটিকস ইনটেগ্রিটি ইউনিট (এআইইউ)।

গত ৯ ডিসেম্বর ডোপ টেস্ট দেওয়ার কথা ছিল কোলম্যানের। কিন্তু আগের দুই তারিখের মতো এদিনও অনুপস্থিত ছিলেন ২৪ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাথলেট।

সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে টুইট করেছেন কোলম্যান। তার দাবি, ডোপ টেস্ট দেওয়ার দিন বড় দিন উপলক্ষে শপিং করতে বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিট দূরত্বে ছিলেন অবস্থান করছিলেন তিনি। কিন্তু যারা ডোপিং টেস্ট করার দায়িত্বে থাকা লোকজন তাকে কিছুই জানায়নি।

জোর দিয়ে কোলম্যান বলেন, “আমি কখনো পারফরম্যান্স বৃদ্ধিকারী কোনো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ গ্রহণ করিনি, কখনো করবও না।”

“নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আমি আমার বাকি ক্যারিয়ারে প্রতিটা দিন ড্রাগ টেস্ট দিতে রাজি আছি। আমার লুকানোর কিছু নাই। কিন্তু এটা প্রমাণের কোনো সুযোগ নাই, যে আমাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয় নাই।”

অ্যাথলেটদের খোঁজ খবর রাখার বিষয়ে বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির। সেখানে বলা আছে, অ্যাথলেটরা কখন, কোথায় থাকবেন সেটা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এ ছাড়া কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমনকি কোথায় থাকছেন সেটিও কর্তৃপক্ষকে জানানোর নিয়ম। ১২ মাসে তিনবার এসব তথ্য জানাতে ব্যর্থ হলে তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন বলে ধরে নেওয়া হয়।

কোলম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন এই অ্যাথলেট। সে ক্ষেত্রে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারেন কোলম্যান।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের কাতার আসরে স্বদেশি জাস্টিন গ্যাটলিনকে হারিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কোলম্যান। এরপর থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়ছিল না তাকে।