বৃহস্পতিবার , ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাভারে ২১৯ গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা

Paris
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪ ৬:৫০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

টানা দুই সপ্তাহের অধিক সময় গার্মেন্টসশিল্প শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি তুলে আন্দোলন করছেন। আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাকশিল্পে বেশ অস্থিরতা দেখা দেয়। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিল্প উদ্যোক্তারা কারখানা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এর মধ্যে বন্ধ কারখানার সংখ্যা ১০০-র কাছাকাছি ছিল।

শিল্পপাড়ায় স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্তের পর তাদের তৎপরতায় বন্ধ কারখানার সংখ্যা অনেকটাই কমে আসে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্ধ কারখানার সংখ্য এসে দাঁড়ায় ২১৯টিতে।
জানা গেছে, শ্রমিকদের বেতন, হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ, বেশ কয়েকটি দাবিতে দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের আন্দোলনের মুখে আশুলিয়ার জামগড়া, নরসিংহপুরসহ আশপাশের অন্তত ২১৯টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ও ৮৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আজ কোথাও সড়ক অবরোধ বা বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য কারখানাসহ ঢাকা ইপিজেডের কারখানাগুলো চালু রয়েছে।
যেসব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে: ভার্চুয়াল বটয়ম, মণ্ডল নিটওয়্যারস লিমিটেড, সিগমা ফ্যাশনস লিমিটেড, হা-মীম গ্রুপ, ক্রশওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, অরুণিমা গ্রুপের অরুণিমা স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড এবং ডিএমসি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এস এম নিটওয়্যারস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, মানতা অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ অন্তত ৮৬টি পোশাক কারখানা।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, ‘যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা মালিক পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা এই বিষয়গুলো কর্ণপাত না করে দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপণ করে আসছিল। শ্রমিকরা প্রতিকার না পেয়ে কর্মবিরতি পালন করে আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনের সপ্তাহখানেক পর কিছু কারখানার মালিক শ্রমিকদের দাবি মেনে নেন। অন্যান্য কারখানার মালিক দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করছেন না।

এতে শ্রমিকরা আরো ক্ষুব্ধ হন। যার ফলে ওই কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে পৌছে কর্মবিরতি পালন করেন। বাধ্য হয়ে এসব কারখানা ছুটি ঘোষণা করে।’ তারা আরো বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য যেসব কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে এর মধ্যে বেশির ভাগ কারখানার শ্রমিকদের গত মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক টেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, গতকালের তুলনায় বন্ধ কারখানার সংখ্যা বেড়ে অন্তত আট গুণে এসেছে। যার ফলে শ্রমিক অসন্তোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা বলা যায়। শিল্পপাড়ায় স্থিতিশীল পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে দরকার জরুরি মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা। আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধা করা সম্ভব। এ ছাড়া কারখানা বন্ধ ঘোষণা একটি সাময়িক সমাধান। স্থায়ী সমাধানে আলোচনা জরুরি।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, সকালে বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করেন। এর ফলে এসব কারখানা কর্তৃপক্ষ বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি শ্রম আইন ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কিছু কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ২১৯টি কারখানা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আর শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য