ভয়ঙ্কর: রাজশাহীতে তারে উড়ানো ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত চাচা-ভাতিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভয়ঙ্কর ঘুড়ি ওড়ানােতে মেতে উঠেছে রাজশাহী নগরীর কিছু উশৃঙ্খল কিশোর, যুবকরা। লোহার চিকন তার দিয়ে উড়াচ্ছে ঘুড়ি। আর সেই ঘুড়ি দেয়া হচ্ছে কেটে। এই ধরনের একটি কেটে আসা ঘুড়ি ধরতে গিয়ে রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ দড়িখরবনা কদমতলা এলাকার আকবর আলীর ছেলে সুরাজ আলী (৩৮) ও তার ৯ বছর বয়স্ক ভাতিজা বিদ্যুতায়িত হয়ে মারাত্মক আহত হোন। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে।

 

পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অল্পের জন্য বড় ধরেনর দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান চাচা-ভাতিজা। কারণ ওই ঘুড়ির তারটি গিয়ে পড়েছিলো ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে। কিন্তু সেটি খেয়াল না করে ঘুড়িটি ধরতে যান সুরাজ ও তার ভাতিজা। এতেই বিদ্যুতায়িত হোন তারা। সাধারণত এই তারগুেলা বাড়ির বা খেতের বেড়া বাঁধানোর কাজে ব্যবহার হয়। সেই তার দিয়েই ঘুড়ি উড়াচ্ছিলো কোনো উশৃঙ্খল কিশোর বা যুবক।

 

আহত সুজার জানান, তারে উড়ানো একটি ঘুড়ি নগরীর কদমতলার বাসার ছাদে গিয়ে পড়ে। ঘুড়ির সেই তারটি বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের তারে গিয়ে পড়ে। কিন্তু সেটি খেয়াল করেননি সুরাজ ও তার ভাতিজা। ফলে তারে হাত দেওয়ামাত্র কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হোন সুরাজ এবং তার ভাতিজা (৯)। এতে দু’জনই মারাত্মকভাবে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

সুরাজের ঘোনিষ্ট মিজানুর রহমান পিন্টু বলেন, এই ধরনের তার দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো একটি অপরাধের মধ্যেই পড়ে। তার সাধারণত কেটে যাওয়ার কথা নয়। হয়তো ইচ্ছে করেই মানুষকে বিপদে ফেলতে তার দিয়ে ঘুড়ি আকাশে ওড়ানোর পর তার কেটে দেওয়া হচ্ছে। যেন সেই তারে বেধে বা অন্যরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।’

স/আর