সাধারণ ছুটিতেও কৃষকের পাশে বাগাতিপাড়া কৃষি অফিস

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জায়গার ব্যবহার নিশ্চিত করতে করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে সাধারণ ছুটিতেও কৃষকের পাশে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার কৃষি অফিস। ফসল উৎপাদন হয় মৌসুম ভিত্তিক তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকলে দেশের এই সংকটকালীন সময়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে। তাই করোনা পরবর্তী সময়ে কৃষিই হবে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এই বিশ্বাসে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার কৃষি শ্রমিকদের বোরো ধান কাটতে উত্তর অঞ্চলে যেতে সহোযোগিতা প্রদান, কৃষকের নিকট থেকে সরকারি খাদ্য ক্রয়ের জন্য সাড়ে আট হাজার গম চাষীর তালিকা তৈরি ও বোরো ধান চাষীর তালিকা প্রস্তুত করতে , বসতবাড়ি ও পতিত জায়গায় সবজির আবাদ বৃদ্ধি, বেশি বেশি ফসল উৎপাদন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকের পন্য বিক্রি ও পরিবহনে সহযোগিতা প্রদান, বাজারে সার-বীজ বালাইনাশকের মজুত ও সরবরাহ ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষন এবং পাট, তিল ,ভুট্টা ও মুগ কালাই চাষে কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দেয়া নিশ্চিত করতে উপজেলা কৃষি অফিসার থেকে উপসহকারী কৃষি অফিসার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন নিয়মিত কর্মস্থলে অবস্থান করে এই বৈশ্বিক মহামারিতে যেন খাদ্য উৎপাদন ব্যহত না হয় সেই লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে নিরলস ভাবে সব সময় কৃষকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলছে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ, সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী অফিসার গন কৃষকদের চাহিদা মাফিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী জানান, যে কোন মহামারি ঘটার পর সবচেয়ে সংকট হয় খাদ্যের, তাই যাতে করোনা পরিস্থিতির পর বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য সংকট না হয় সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা বেশি বেশি ফসল উৎপাদন এর জন্যে কাজ করে যাচ্ছি, আমরা জানি এই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করা বেশ কষ্টকর তবুও দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জন্যে কাজ করে যাচ্ছি যাতে করে দেশ এবং মানুষের জন্য খাদ্যের সংকট না হয়।

তিনি আরও জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে এই কৃষকরাই খাদ্যের যোগান দিয়ে দেবদূত হিসাবে আবির্ভূত হবে, তাই স্যালুট জানাই বাগাতিপাড়া উপজেলার সকল কৃষকভাইদেরকে এবং আমরা কৃষি বিভাগ সর্ব্বোচ আন্তরিকতা দিয়ে তাদের পাশে আছি এবং থাকব।

তিনি উপজেলার ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা দেশের এই ক্রান্তি কালে ফসল ফলিয়ে মানুষকে খাবার উপহার দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের পন্যের নায্যমূল্য দেওয়ার জন্য এবং জনপ্রতিনিধি সহ সকল মানুষের প্রতি আহবান জানান কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, তাদেরকে ফসল ফলানোর উৎসাহ প্রদান এবং তাদের কৃষি পন্য বিক্রি ও পন্য পরিবহনে সহযোগিতা করার জন্য।

স/অ