সাকিব ছাড়া যখন একসঙ্গে বাকি চার পাণ্ডব

জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে তাদের যে কত ঘণ্টা, প্রহর, দিন, মাস আর বছর কেটেছে একসঙ্গে- গুনে শেষ করা যাবে না। গড়পড়তা সেই ২০০৭ সাল থেকে সবাই একসঙ্গে। মানে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় দলে খেলছেন মাশরাফি, তামিম, মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো মাশরাফি জাতীয় দলের সঙ্গে নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নিলেও টিম বাংলাদেশের লালসবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামছেন না এক বছরের বেশি হয়ে গেল।

বাকিরা জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও তামিমও শেষ প্রায় ৬ মাস অনিয়মিত। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেললেও সব ফরম্যাটে নন। একই কথা প্রযোজ্য রিয়াদের বেলায়ও। তিনিও সব ফরম্যাটে এখন আর জাতীয় দলের প্রতিনিধিদত্ব করছেন না। তাই জাতীয় দলের টিম হোটেল, ড্রেসিং রুম আর টিম বাস শেয়ার করাও হচ্ছে না বেশ কিছুদিন।

অবশেষে বিপিএল তাদের কাছাকাছি আসার একটা উপলক্ষ্য তৈরি করে দিয়েছে। আজ ১৬ জানুয়ারি রোববার দুপুরে আবার একসঙ্গে হলেন পঞ্চ পাণ্ডবের চারজন- মাশরাফি, মুশফিক, তামিম ও রিয়াদ। এখানে ছিলেন না কেবল পঞ্চপাণ্ডবের বাকিজন, সাকিব আল হাসান। বরিশালের সঙ্গে আজ তিনি অনুশীলনে আসেননি। কাল থেকে অনুশীলনে মাঠে থাকবেন এই তারকা।

লম্বা-চওড়া না হলেও প্রায় ঘণ্টা খানেকের একটা আড্ডাও হয়ে গেল শেরে বাংলার একাডেমী মাঠে। সিলেটে বিসিএল স্বাধীনতা কাপ চলাকালীনও কেউ কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিরপুর শেরে বাংলায় অনুশীলন করেছেন। তবে সেটা খুবই সীমিত পরিসরে। হাতে গোনা অল্প কয়েকজন।

তবে বিপিএলের টিম প্র্যাকটিস বলতে যা বোঝায়, তা হয়নি। আজই শুরু হলো দলগুলোর অনুশীলন। বরিশাল, ঢাকা ও কুমিল্লার অনুশীলনে সরগরম শেরে বাংলার বিসিবি একাডেমি মাঠ।

এই অনুশীলন বেশ কিছুদিন পর কাছাকাছি আনলো অনেক ক্রিকেটারকেই। সিনিয়র, জুনিয়র, মাঝ বয়সী অনেকেরই দেখা মিললো মাঠে।

তবে পঞ্চ পান্ডবের ৪ সদস্য মাশরাফি, তামিম, মুশফিক আর রিয়াদের দেখা হলো বেশ অনেকদিন পর। একাডেমি মাঠে তারা আড্ডাও দিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নামি কোচ সালাউদ্দিন, স্পিন কোচ সোহেল ইসলামনরা।

4 star

তারা সবাই এক দলের হয়ে খেলবেন না বিপিএলে। মাশরাফি, তামিম আর রিয়াদ- এই তিনজন খেলবে ঢাকার হয়ে। মুশফিক খেলবেন খুলনার জার্সিতে। তাই আড্ডার বিষয়বস্তু বিপিএলের এক দল কেন্দ্রিক ছিল না নিশ্চয়।

কী কথা হলো ৪ পান্ডবের আড্ডায়? হয়তো অতীতে ফিরে গিয়েছিলেন চার শীর্ষ তারকা। নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করতেও দেখা গেলো। শুধু তারাই নন, দেশের দুই নামী ক্রিকেট কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন আর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও আড্ডায় মেতেছিলেন চার তারকা।

যদিও সালাউদ্দীনের সঙ্গে আড্ডাটা হলো অনেক বেশি অন্তরঙ্গ, প্রাণখোলা। একাডেমি মাঠের এক কোনে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে খোশ গল্পে মেতে উঠেছিলেন তারা। আর মাঠের পূর্ব ও উত্তর কোনে বরিশাল ফরচুনের অনুশীলন তদারক করছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

Mashrafe-tamim

পুরো নেট সেশনে তিনি আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়িয়ে পরখ করলেন নিজ দলের ক্রিকেটারদের। এর মধ্যেও প্রথমে তামিম, পরে রিয়াদের সঙ্গে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে কথা বললেন সুজন।

 

সূত্রঃ আজগো নিউজ