সাকিবের জোড়া আঘাত

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নিসাঙ্কা ও আসালঙ্কার মধ্যকার জুটির বিচ্ছেদ ঘটালেন সাকিব আল হাসান। এই অফস্পিনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২১ বলে ২৪ রান করেন পাথুম নিসাঙ্কা। তার আগে দ্বিতীয় উইকেটে আসালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৬৯ রানের জুটি।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ১ উইকটে ৭১ রান করা শ্রীলংকা এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে হারায় ২ উইকেট।

পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করার মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন সাকিব। সাকিবের সংগ্রহ ৪১ উইকেট। ৩৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় পজিশনে পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল শ্রীলংকা। ইনিংসের চতুর্থ বলে নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লংকান তারকা ওপেনার কুশাল পেরেরা। দলীয় ২ রানে ফেরেন তিনি।

এর আগে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটিতে ভড় করে ৪ উইকেটে ১৭১ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫২ বলে ৬টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ওপেনার নাঈম শেখ। ৩৭ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রান করেন মুশফিকুর রহিম।

রোববার আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ দলকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলংকা ক্রিকেট দল।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনীতে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। ৫.৫ ওভারে ১৬ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করে ফেরেন এ ওপেনার।

তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১০ রান করে দলীয় ৫৬ রানে ফেরেন সাকিব। করুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ অলরাউন্ডার।

এরপর নাঈমের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তাড়া গড়েন ৭৩ রানের জুটি। ৫২ বলে ৬২ রান করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তার বিদায়ে ১৬.১ ওভারে ১২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ইনিংসের শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া মুশফিকু রহিম ৩২ বলে চারটি বাউন্ডারি আর দুটি ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। মুশফিকের ফিফটির পর রান আউট হয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন। ১৮.৩ ওভারে ১৫০ রানে ফেরেন তিনি।

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম। ৩৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন মুশফিক। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭১/৪ রান ( মোহাম্মদ নাঈম ৬২, মুশফিকুর রহিম ৫৭*, লিটন দাস ১৬, সাকিব আল হাসান ১০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০*, আফিফ হোসেন ৭)।

 

সূত্রঃ যুগান্তর