সাংবাদিক পিটিয়ে কারাগারে যাওয়া বিএমডিএ’র কর্মচারীকে ফুলের মালা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাংবাদিক পেটানোর মামলায় কারাগারে যাওয়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বরখাস্ত হওয়া ভাণ্ডাররক্ষক মো. জীবন জামিন পেয়েছেন। সোমবার বিকালে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এ সময় বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।

এ রকম একটি ছবি পাওয়া গেছে। ছবিতে দেখা গেছে, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর জীবনকে ফুলের মালা পরানো হয়েছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সহকারী শরিফুল হক, রিজিয়ন অফিসের প্রধান সহকারী লায়লা আঞ্জুমান বানু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী, ক্যাশিয়ার মো. রাকিব, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফাহমিদা খাতুন এবং বরখাস্ত হওয়া গাড়িচালক আবদুস সবুর।

এদের মধ্যে আবদুস সবুরও সাংবাদিক পেটানোর মামলায় কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিন পান।
সাংবাদিক পেটানোর দিনই আবদুস সবুর ও মো. জীবনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জীবন বিএমডিএ কর্মচারী ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক।

প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বরখাস্ত হওয়ার পরও বিএমডিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেভাবে জীবনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তাতে সাংবাদিকরা বিস্মিত হয়েছেন।

হামলার শিকার ভুক্তভোগী সাংবাদিক বুলবুল হাবিব বলেন, সোমবার সকালে রাজশাহীর একটি আদালত জীবনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া একজন অপরাধীরও আইনগত অধিকার। কিন্তু একজন ফৌজদারি মামলার আসামিকে যখন বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুলের মালায় বরণ করে নেন তখন ওই প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতা ও জবাবদিহিতাহীনতা কত যে প্রকট সেটাই ফুটে উঠে। অন্যায় করলেও যে শাস্তি হবে না এটা তাদের সেই মনোভাব প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএমডিএ কার্যালয়ের সামনে সরাসরি সম্প্রচারের সময় হামলায় আহত হন এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপার্সন রুবেল ইসলাম। এ ঘটনায় বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেন বুলবুল হাবিব। এ মামলায় গ্রেপ্তার দুজনই জামিন পেলেন। এছাড়া সম্প্রতি আদালতে হাজির হয়ে নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদও জামিন নিয়েছেন।

স/আর