বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করল আ.লীগের সশস্ত্র সমর্থকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠি-সোঠা নিয়ে বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করলেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বাঘা পৌরসভার কাউন্সিলর শাহীনুর রহমান পিন্টুর কর্মী-সর্মথকরা এ ঘটনা ঘটান। এ নিয়ে বাঘায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে শাহীনুরের লোকজনকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ঘটনার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্গম-আহ্বায়ক লায়েব উদ্দিন লাভলু উপজেলা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।

একটি অনলাইন টকশোতে বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুর উপস্থিতিতে বাঘার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহীনুরের লোকজন এ ঘটনা ঘটান বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, লায়েব উদ্দিন লাভলুর সমর্থক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মুকাদ্দেসের এক ভাতিজার সঙ্গে শাহীনুরের কর্মীদের বিরোধের জের ধরেও এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠি-সোঠা নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে শাহীনুরের লোকজন প্রথমে বাঘা উপজেলা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় লাভলু কার্যালয়ে না থাকায় তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। এর পর তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এর পর উত্তেজিত সমর্থকরা থানায় গিয়ে লায়েব উদ্দিন লাভলুর  সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও  সানোয়ার হোসেন সুরুজের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। পরে থানা থেকে বের হয়ে এসে কয়েকশ নেতাকর্মী আবারো উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে আবারো সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার সকালে শাহীনুরের লোকজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুকাদ্দেসের এক ভাতিজাকে মারপিটের চেষ্টা করে। এ ঘটনার পরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন সুরুজসহ তার লোকজন মিলে শাহীনুরের সমর্থক সোহাগ নামের এক ছেলেকে মারপিট করে। এর প্রতিবাদে শাহীনুরের লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করে।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, শুনেছি লাঠি-সোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা আমার ওপর হামলা করতে গেছিলো। কিন্তু আমি তিনদিন ধরে রাজনৈতিক কাজেই রাজশাহীতে আছি। এ কারণে তারা আমাকে না পেয়ে গালিগালাজ করে চলে গেছে বলেও শুনেছি। এটি খুবই ন্যাক্কারজন ঘটনা। তবে কেন তারা এটি করেছে আমি কিছুই জানি না।’

এদিকে জানতে চাইলে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, একটি ঝামেলা হয়েছিলো। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

স/আর