সরকার টাকা পাচারকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, অভিযোগ বাম জোটের

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সরকার ব্যাংক ডাকাত ও টাকা পাচারকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, রাতের ভোটে-কারসাজি করে ক্ষমতায় থাকার কারণে জনগণের প্রতি কোনো অঙ্গীকার নেই বর্তমান সরকারের। তাই সরকার দেশের ব্যাংক ডাকাত ও টাকা পাচারকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে গরিব কৃষককে সামান্য টাকার জন্য জেলে পাঠাচ্ছে।

আজ শুক্রবার পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। বাম জোটের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক ডা. সাজেদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, কমিউনিস্ট লীগের নজরুল ইসলাম, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা ডা. জয়দীপ ডট্টাচার্জ, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, সিপিবির জলি তালুকদার, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের মোদাচ্ছের হোসেন বাবুল প্রমুখ।

সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। সংবাদ মাধ্যমকে ভীতির ভেতর কাজ করতে হচ্ছে। ব্যাংকগুলো ফোকলা হয়ে গেছে। সরকারের কাছের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। জননিরাপত্তা নেই। দ্রব্যমূল্য মানুষের জীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকার কারসাজি করে আবার ক্ষমতায় বসার ছক কষছে। তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে মানুষ ভোট দিতে পারবে না। তাই আমরা নির্বাচনের সময়ে তদারকি সরকার চাই।

বাম জোটের সমন্বয়ক বলেন, সরকার মানুষের কাছে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এই সরকার গরিবের পেটে লাথি মারছে। কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না, বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। আবার সামান্য টাকার জন্য তাকে জেলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয় হলেও তার দায় সাধারণ মানুষের উপর চাপানো হচ্ছে। গণশুনানি ছাড়া গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। একইভাবে পাহাড়ের জনগণের সাথেও প্রতারণা করেছে সরকার। দীর্ঘ পঁচিশ বছরেও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি। আমরা এই চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি করছি।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বামপন্থীদের লড়াই ভোটাধিকারের জন্য, ভাতের জন্য, মজুরির জন্য, মর্যাদার জন্য। আমরা লড়াই করে গ্যাস রপ্তানি ঠেকিয়েছি, বন্দর ইজারা দিতে দেইনি, কয়লা বিক্রি করতে দেইনি। আমরা গণতান্ত্রিক শাসনের দাবিতে রাস্তায় আছি, শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আছি। ভোটের অধিকার- দ্বিদলীয় মেরুকরণের বাইরে বিকল্প গড়ার সংগ্রামে আমরা থাকব।

সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল পল্টন বিজয় নগর, শান্তিনগর মালিবাগ হয়ে মৌচাকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শত শত মানুষ লাল পতাকা হাতে মিছিলে যোগ দেন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ