সরকারের সব কৌশল ব্যর্থ হবে: গয়েশ্বর

সরকারের সব কৌশল ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এখন সফল হবে বিএনপির কৌশল।

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে রোববার (১৬ জানুয়ারি) দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও করোনা আক্রান্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুস্থতা কামনা করে এই মাহফিল হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একটা সময় আছে যখন সব কৌশলে সফল হওয়া যায় না। এখন সরকার যে কৌশলই করুক তারা ব্যর্থ হবে। কারণ সরকারের এখন ব্যর্থ হওয়ার সময়। আর বিএনপি তার কৌশলে সফল হবে। কারণ, এখন বিএনপির সফল হওয়ার সময়। যেখানে জেলা সমাবেশ বন্ধ করা যায়নি, ১৪৪ ধারা দিয়েও জনগণকে রুখতে পারা যায়নি। সুতরাং এ ধরনের বিধিনিষেধ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না।

সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ মানুষের জীবন রক্ষা করতে জারি করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জার্মান ভিত্তিক ডয়েচে ভেলের সার্ভেও ৮৮ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করার একটি কৌশল মাত্র। জনগণ যদি মনে করে এটা সরকারের অপকৌশল, তাদের মতামত আমাদের পক্ষে আছে। এখন সরকারের এই বিধিনিষেধ মানতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যে কর্মসূচি (জেলায় জেলায় সমাবেশ) দিয়েছিলাম, তা তো স্থগিত করা হয়নি। পুনঃনির্ধারণ করে আপনাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আপনারা প্রস্তুতি রাখবেন। যখন পুনঃনির্ধারণ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তখন আরও অধিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

দোয়া মাহফিল প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা নেতা-নেত্রীদের নিয়ে দোয়া করতে এখানে একত্রে হাত তুলতে বসেছি। এটা যদি বাধা না হয়; রাজপথে বাধা হবে কেন?

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা অ্যাক্ট করবো। ওরা (সরকার) রিয়াক্ট করবে। আমরা আক্রমণ করবো, ওরা আত্মরক্ষা করবে। আপনারা প্রস্তুতি নেন। জনগণ সরকারের খেলাটা কীভাবে নেয়- তা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। জনগণ সরকারের বিধিনিষেধকে খেলা বলছে। এখন তো আর ভয় নেই। জীবনভর কি সরকারের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করতে হবে? যে কর্মসূচিতে অনুমতি নিতে হয় না; সেই কর্মসূচি করা হবে।

বিএনপি ভোটাধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, জনগণকে বলবো আমাকেই ভোট দিতে হবে-এমনটা নয়। আপনার ভোট, দিনের বেলা কেন্দ্রে গিয়ে আমার বিপক্ষে হলেও দেন। তারপরও নিজের ভোট নিজে দেন। এজন্যই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন আপনারা আমার হাতকে শক্তিশালী করুন।

দোয়া মাহফিল কর্মসূচিতে অংশ নেন- ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সরফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগরের নবী উল্লাহ নবী, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গোলাম মাওলা শাহীনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ