সরকারের অক্ষমতা প্রমাণিত : মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘রিজেন্টকাণ্ডে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের পারস্পরিক দোষারোপ এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীরবতা স্পষ্ট করেছে এর শিকড় কতটা গভীরে প্রোথিত। স্বাস্থ্য খাতের অসুস্থতাই প্রমাণ করে সরকার অক্ষম।’

সোমবার (১৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন নিয়ে মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মধ্যে পরস্পরের প্রতি দোষারোপ ও কাদা ছোড়াছুড়ির সংবাদে বিস্মিত হলাম। এমনিতেই দেশ ও বিশ্ববাসী জানে এই সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। কিন্তু এরা যে ন্যূনতম সম্মানবোধ হারিয়ে ফেলেছে, লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছে; তা বুঝতে কষ্ট হয়েছে। কোভিড-১৯ এর মতো বিষয় নিয়ে, তার শনাক্তকরণ নিয়ে এই সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যে নিচুতার, অর্থলিপ্সার পরিচয় দিয়েছে তাতে বিশ্বের সামনে আমাদের আর কোনো সম্মান অবশিষ্ট থাকেনি। তারপর সেই ঘটনা তদন্ত ও বিচার করতে গিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও তার সর্বোচ্চ অধিদফতরের যে অযোগ্যতা-নীতিহীনতা, লোভ-লালসার পরিচয় আমরা পেয়েছি তাতে এই সরকারের মুখ দেখাতে লজ্জা পাওয়া উচিত। অথচ আমরা দেখছি এই অনির্বাচিত, নীতিহীন, ভোট ডাকাত সরকারের মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের, মন্ত্রী ও মহাপরিচালকের মধ্যে কী কুৎসিত বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে কি কোনো সরকার আছে? থাকলে এতে কী তাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল না? কিন্তু তারা তা করছে না। কারণ আসলে এসব ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার মতো নৈতিক ও আদর্শিক ভিত্তি তাদের নিজেদেরই নেই। এরা কোনো অনৈতিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে না। লুটতরাজ, দুর্নীতি, জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কারণ সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এরা নিজেরাই নীতিহীন, নিষ্ঠুর, দয়ামায়াহীন।

মান্না বলেন, কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে তারা সর্বশেষ পরীক্ষা কমিয়ে দিয়ে যে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তাতে এ সরকারকে দিয়ে মানুষের জান-মাল- স্বাস্থ্য কোনোটাই নিরাপদ নয়।