সরকারি প্রতিষ্ঠানও চিনির দাম বাড়াল

রমজান উপলক্ষ্যে সরকারি চিনির দাম কেজিপ্রতি ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ টাকায় বিক্রি করবে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। পাশাপাশি মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজিপ্রতি ৬০ টাকা থেকে থেকে বাড়িয়ে ৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসএফআইসির চিনি বিক্রয় কার্যক্রম নিয়ে রোববার ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

সূত্র জানায় ৬ এপ্রিল চিনির দাম প্রতিকেজি তিন টাকা বৃদ্ধি করে বিএসএফআইসি। দুমাস ধরে রাজধানীর খোলা বাজারে আমদানি করা চিনিও বেশি দরেই বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সূত্র বলছে, সর্বশেষ গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি চিনি ২ দশমিক ২২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ টন। এর মধ্যে রমজান মাসে চাহিদা তিন লাখ টন। আর এই তিন লাখ টন চিনি নিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছর রমজান সামনে রেখে নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি চিনির দাম বৃদ্ধিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সূত্র জানায়, রমজান মাসে অসাধুদের কারসাজি রোধে চাহিদা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর এক থেকে এক লাখ ২০ হাজার টনের মতো চিনি সরকার মজুত রাখে। তবে এ বছর মজুত বেশ কম। তা ছাড়া সরকারি ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোর উৎপাদনও সন্তোষজনক নয়। ফলে এবার রমজান সামনে রেখে সরকারি পর্যায়ে চিনির মজুত নেমে এসেছে ৫০ হাজার টনে।