সোমবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সরকারি টাকায় হজ, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

Paris
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

সরকারি টাকায় হজ করাকে বিলাসিতা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রতি বছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরয়ী এবং নৈতিক কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়।’

যুক্তি হিসেবে আহমাদুল্লাহ বলেন, এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসদ্ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এইসব লোকদের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সরকারি টাকা মানে জনগণের টাকা। জনগণ তো কাউকে হজের জন্য টাকা দেয় না।

তিনি বলেন, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জনগণের টাকায় হজ করছেন, এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আছে প্রচ্ছন্ন লাঞ্ছনা। অতএব, এই প্রথা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, সরকারের তরফ থেকে নিয়োজিত ডাক্তার, হজ গাইড ও অন্যান্য হজ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কথা ভিন্ন।

পোস্টের কমেন্টে বিষয়টির আরও ব্যাখ্যা দেন এই ইসলামি আলোচক।

তিনি বলেন, সরকারি হাজিদের সেবায় যারা সৌদি যান, তাদের বেশিরভাগই নিজের হজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান। সরকারি হাজিদের অবস্থা থাকে অনেকটা মা বাপ ছাড়া সন্তানের মতো। তাদের দেখার যেন কেউ থাকে না। সরকারি হাজিদের অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা দেখে প্রতিবছরই কষ্ট হয়।

এ অবস্থারও অবসান হওয়া দরকার। হাজিদের সার্ভিস দেওয়ার নাম করে সেখানে হজ করতে যাওয়াও অনুচিত, যদি সেই হজ পালনের ফলে হাজিদের সেবাদানে ত্রুটি হয়। সুতরাং ‘পরিচিত’ কোটায় সেবার জন্য হজে যাওয়াও বন্ধ হওয়া উচিত।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - ধর্ম