রবিবার , ২৩ অক্টোবর ২০১৬ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সরকারি অফিসে বসেই জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন রাজশাহীর প্রকৌশলী নফিস

Paris
অক্টোবর ২৩, ২০১৬ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেএমবিকে অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নফিস আহমেদ অফিসে বসেই জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের হাত ধরে জেএমবিতে প্রবেশ করা নফিস সংগঠনটির তহবিলে ৫ লাখ টাকাও দেন। জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে অর্থ সঙ্কটে পড়া জেএমবি নেতারা নফিসকে টার্গেট করেই তাঁকে দলে ভেড়ানো হয়। আর তাদের ফান্ডে টাকা দিতেও উদ্বুদ্ধ করেন জেএমবি নেতারা। সেই ফাঁদেও পা বাড়ান নফিস আহমেদ।

 

এরপর তিনি নব্য জেএমবির তহবিলে পাঁচ লাখ টাকা দেন বলে র‌্যাব দাবি করেছে। সেইসঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে আরো পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল নফিসের। তবে তার আগেই বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাবের জালে পড়ে যান নফিস।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নফিস অনেকটা সময় একাই অফিসে থাকতেন। অফিসে বসে কম্পিউটারে বসেই সময় কাটাতেন তিনি। কারো সঙ্গে তেমন মিশতেনও না। অনেকটা সহজ-সরল জীবন-যাপন করতেন।

 

গত ১১ অক্টোবর যেদিন নফিস আটক হন, সেদিন শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও তিনি সন্ধ্যার পরেও অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। কাজ পেন্ডিং (পড়ে) আছে বলে ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে অফিসে প্রবেশ করেন নফিস। এরপর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কাজ শেষে অফিস থেকে বের হওয়ার পর পরই র‌্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন নফিস।

 

এ ঘটনার পরে ওইদিনই নফিসের বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়েরও করেন। আব্দুল মান্নানের বাড়ি নগরীর বালিয়া পুকুর ছোট বটতলা এলাকায়। নফিস বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তার একটি ৫ বছর বয়সের কন্যা সন্তান রয়েছে।
নফিসের ঘোনিষ্ট কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নব্য জেএমবির অর্থদাতা নিখোঁজ ডা. রোকনউদ্দিন নফিসের দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই। সেই আত্মীয়তার সূত্র ধরেই নফিস জেএমবির তহবিলে অর্থ প্রদান করেন।
পুলিশের আরেকটি সূত্র বলছে, গত ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত আবদুর রহমান প্রকৌশলী নফিসের দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই। আবদুর রহমানের প্রকৃত নাম সারোয়ার জাহান। তিনি ছিলেন নব্য জেএমবির প্রধান। তার সাংগঠনিক নাম শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার খুমরিভুজা গ্রামে। সারোয়ার জাহান ও ডা. রোকনের মাধ্যমেই নব্য জেএমবিতে অর্থ দেন প্রকৌশলী নফিস আহমেদ।

 

নফিসের জেএমবি সংশ্লিষ্টতা নিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ‘তার বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে শুনেছি তিনি জেএমবির তহবিলে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। বিষয়টি আমরাও খতিয়ে দেখছি। তিনি কিভাবে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জড়িয়ে পড়লেন, সেটিও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদফতরের রাজশাহীর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘নফিসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানতে পারার পরেও বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তি নির্দেশ আসার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর