সময়ের প্রেক্ষিতে ইলিশের দাম বাড়া অস্বাভাবিক নয়: মৎস্যমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলিশের দাম কিছু বাড়াটা অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়ানমারের জেলেরা আমাদের সীমানায় আসে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমায় কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ ও আমাদের কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিকভাবে আহরণ বন্ধকালে কাজ করছে। কাজেই মিয়ানমার অথবা অন্য কোনো দেশের কেউ এসে আমাদের ভৌগলিক এলাকায় মৎস্য আহরণ করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি গোপনে সেটি করতে চায় আমরা কিন্তু তাদের গ্রেফতার করি। এখনও বিদেশ থেকে আমাদের এখানে মৎস্য আহরণ করতে আসা জেলেরা কারাগারে রয়েছে। এব্যাপারে আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি।

ইলিশ রপ্তানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক বাঙ্গালীরা বিদেশে বসবাস করেন, তারাও কিন্তু প্রিয় মাতৃভূমির ইলিশ খেতে চায়। আমরা একবারেই কোনো দেশকে ইলিশ দেবো না এমন নয়। কিন্তু আমরা মনে করি দেশের মানুষের কাছে এই সুস্বাদু ইলিশটা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।

মাছের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইলিশের বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ মন্ত্রণালয়ের নয়। আমি মনে করি, পৃথিবীতে অর্থনীতির যে স্ফীতি এসেছে এতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। যারা ইলিশ ধরে আনে এরপর যিনি লেবার আছেন বা যারা বিনিয়োগ করেন তাদের কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে। যিনি মাছটা আহরণ করে আনেন তিনি যদি লেবার হন তাকে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে যেতে হয়, তিনি ঝুঁকি নিয়ে ইলিশটা নিয়ে আসেন। বাজার ব্যবস্থাপনায় কোথাও কোথাও কিছু সিন্ডিকেট কাজ করে। অনেকে প্রচুর ইলিশ আটকে রেখে, বরফে রেখে বাজারে স্বল্প পরিমাণ ইলিশ নিয়ে আসে। এটা দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার বা যারা বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন তাদের। আমি মনে করি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলিশের দাম বাড়াটা অস্বাভাবিক নয়।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি করা আমাদের দায়িত্ব না। আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি। যখন দেখলাম গরুর মাংস এতো টাকার কমে বিক্রি করতে পারবে না। আমরা রমজান, করোনার সময় আমাদের উৎপাদিত ডিম, মাংস ও দুধ কোনো রকম ভর্তুকি ছাড়াই বিক্রি করে দেখিয়েছি যদি অন্যরা লাভ একটু কম করে, মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তাহলে কম দামেও বিক্রি করা সম্ভব। ইলিশ উৎপাদন, আহরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত। কিন্তু বাজারজাতের মতো জনবল আমাদের নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ