সম্মাননা-চাকরি পেলেন জাবির সেই সাহসী কন্যা পারিশা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ধাওয়া করে দুই ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে আলোচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী পারিশা আক্তারকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।একইসঙ্গে পারিশাকে সম্মাননাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সারাবছর একরেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গত রোববার পারিশাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার পড়াশোনার পাশাপাশি একটা পার্টটাইম চাকরির প্রস্তাবও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।পারিশাও এই চাকরি করার সম্মতি জানিয়েছেন। বেতনও পাবেন ভালো।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক পরিচালক (এমডি) নিয়ামুল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারিশা এই ধরনের সাহস দেখিয়ে আমাদের সমাজকে একটা মেসেজ দিয়েছেন। এই ধরনের সাহসী মেয়ে আমাদের সমাজে খুব দরকার। সেটা ভেবে আমি তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। সমাজ গড়তে তাদের মতো সাহসী মেয়ে দরকার।

এভাবে সামনের দিনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মেয়েরা এমন সাহসী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তবে এখনো পর্যন্ত অন্য ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার ও পারিশার ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ। এ ব্যাপারে মামলা করলেও কোনো সুফল মেলেনি। পুলিশ শুধু আশ্বাসের মধ্যে রেখেছে জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন পারিশা।

জবি শিক্ষার্থী পারিশা বলেন, ‘সবাই আমাকে যে ভালোবাসা দিচ্ছেন, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ওইদিন হয়ত আমি কাউকে পাশে পাইনি, হতাশ হয়েছি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই যেভাবে পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন, তাতে আমি অনেক খুশি। এভাবেই সবাইকে সবসময় পাশে চাই।’

পারিশা আরও বলেন, নারী-পুরুষ সবাই যে কোনো অন্যায় দেখলে সার্মথ্য অনুযায়ী সবাই যেন প্রতিবাদ করেন।’

গত ২১ জুলাই মিরপুর থেকে তানজিল পরিবহণে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন জবি ছাত্রী পারিশা আক্তার। পথে কারওয়ানবাজার যানজটের মধ্যে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। দ্রুত বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধরার চেষ্টা করেন।এ সময় পাশেই আরেকজনের মোবাইল ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন তিনি। ওই ছিনতাইকারীকে ধরার ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে ছিনতাইকারী ও তার সহযোগীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন পারিশ এবং তার সহপাঠীরা।

সূত্র: যুগান্তর