সবাই যখন উদ্বেগে, স্বস্তির তথ্য দিলেন ওমিক্রন আক্রান্ত ইসরায়েলি চিকিৎসক

জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে এবং ‘অপ্রয়োজনীয় চরম পদক্ষেপে’ ফিরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের তৃতীয় ওমিক্রন শনাক্ত ব্যক্তি, যিনি পেশায় একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

কার্ডিওলজিস্ট ইলাদ মাওর (৪৫) গত মাসে লন্ডনে একটি সম্মেলনে যোগ দেন। ফিরে আসার পর তিনি করোনভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পজিটিভ হন। ইসরায়েলের আগের দুটি শনাক্তের ঘটনা আফ্রিকাফেরত লোকদের মধ্যে শনাক্ত হয়।

মাওর ইসরায়েলের বৃহত্তম হাসপাতাল শেবা মেডিক্যাল সেন্টারে কাজ করেন। আগের তিনটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে, চতুর্থটিতে গিয়ে তিনি পজিটিভ হন।

পরপর তিনটি টেস্টে নেগেটিভ এবং চতুর্থটিতে পজিটিভ হওয়ার আগের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে ইলাদ মাওর বলেন, আমি বিমানবন্দর থেকে বাসায় যাই। পরদিন হাসপাতালে যাই। সেখানে মিটিং অ্যাটেন্ড করি। কাজ করি ল্যাবরেটরিতে। বিকেলের দিকে আমার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। আমি অসুস্থ বোধ করি। আমার মনে হয় এটা কোনো ফ্লু। কেননা দুই দিন আগে আমার পিসিআর টেস্ট ছিল নেগেটিভ। তবুও আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না।

এর পর তিনি চতুর্থ টেস্টটি করান এবং সেটার ফল হয় পজিটিভ।

যেদিন মাওর হাসপাতালে কাজ করেছিলেন সেদিন তিন তাঁর একজন সহকর্মীকে আক্রান্ত করেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনিও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তিনি সেদিন মিটিং অ্যাটেন্ড করেন। বিষয়টিকে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণের প্রাথমিক অবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে।

মাওর আরো বলেন, আমার স্ত্রী, তিনটি ছোট ছোট সন্তান নেগেটিভ। আর আমার সংস্পর্শে আসা আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই আইসোলেশনে আছেন। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটা স্বস্তিকর যে করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্টটি অন্যান্য ধরনের চেয়ে অধিক সংক্রমণযোগ্য নয়।

তবে যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (এইচএসএ) এ বিষয় এখনই কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

কয়েকদিন ধরে মাওরের ফ্লুর মতো উপসর্গ ছিল। যেমন জ্বর, পেশীতে ব্যথা এবং গলা ব্যথা। যাই হোক, তিনি তার অভিজ্ঞতায় এটিকে একটি ‘হালকা রোগ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন; তবে বলেন, ‘এমন কিছু নয় যা উপেক্ষা করা যায়’। আশাবাদী মাওর বলেন, নতুন ভেরিয়েন্টের বিস্তাররোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে তিনি খুশি।

ইলাদ মাওর তাঁর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজটি নিয়েছিলেন গত আগস্ট মাসে। ডোজটি ছিল ফাইজার-বায়োএনটেকের।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে ফাইজারের টিকাটি আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আমার মনে হয়, আমি যদি ভ্যাকসিন না নিতাম তাহলে আরো অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তাম। সেই সঙ্গে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের সবাই আক্রান্ত হতেন। আমার পরিচিত সবাই তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়ে নিয়েছেন।

শেষে তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করছি সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য। তৃতীয় ডোজ সহ।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ