সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বিভিন্ন কোর্সের অধীনে প্রায় ৩ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পটি। ২১ জুন, বৃহস্পতিবার রাজধানীর জনতা টাওয়ারে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দেয়া ছাড়াও প্রশিক্ষণ সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত সফটওয়্যার শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এবং অন্যান্য হাইটেক পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এএনএম সফিকুল ইসলাম (যুগ্মসচিব) বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণের অন্যতম লক্ষ্যই হল, হাইটেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপিত বা অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তাই আমরা আইটি বা আইটিইএস সেক্টরের চাহিদার ভিত্তিতে ৪১টি বিষয়ের প্রশিক্ষণ কোর্স কারিকুলাম নির্ধারণ করেছি। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এবং অন্যান্য হাইটেক পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ জনবলকে প্রশিক্ষণ প্রদান। কর্মশালায় জানানো হয়, প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন ও নির্বাচনে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে।
এর মধ্যে প্রশিক্ষণে হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে হাইটেক পার্ক হতে প্রশিক্ষণার্থী পাওয়া না গেলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও অন্যদের সুযোগ দেয়া হবে। প্রতি কোর্সে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারী প্রশিক্ষণার্থী থাকবেন। নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ও প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের ডিগ্রি বা স্নাতক পাস হতে হবে। প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিতকরণে ১৬টি কোর্সের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন রয়েছে। যে সব কোর্সের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন নেই সেগুলোর জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থীরা মোট কোর্স ফির ১০ শতাংশ বহন করবে। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এবং অন্যান্য হাইটেক পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. আজিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, স্টার্ট-আপ, সাংবাদিক ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্পের পরিচালক গোরীশংকর ভট্টাচার্য্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের যুগ্মসচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, হাইটেক পার্ক সিলেট (সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি) প্রকল্পের পরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া প্রমুখ।