শনিবার , ২৩ জুলাই ২০১৬ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সন্ত্রাসের বিচারে হচ্ছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল

Paris
জুলাই ২৩, ২০১৬ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সন্ত্রাসের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’। এতে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারী, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী, রাষ্ট্রের সম্পদ বিনষ্টকারী, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারকারীসহ হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে।

এই ট্রাইব্যুনালকে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হচ্ছে। মামলা নিষ্পত্তির জন্য বেঁধে দেওয়া হচ্ছে ছয় মাস সময়।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মুহাম্মদ জহিরুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রশাসনিক সংস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (নিকার) অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পেশ করেছি। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় নিকারের আগামী বৈঠকে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।’

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় আপাতত ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের পক্ষে মত দেয়। একই সঙ্গে দুজন বিচারকের পদ ও ১০ জন সহকারীর পদ অনুমোদন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে সারা দেশে দায়ের হওয়া মামলাগুলো এ দুই ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানান আইনসচিব। তিনি বলেন, এ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন হলে অপরাধের বিচার দ্রুত হবে এবং জননিরাপত্তা আরো বাড়বে।

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যেসব অপরাধের বিচার হবে

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন অপরাধের বিচার হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের নাগরিক বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোনো অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার বা কোনো সত্তা বা কোনো ব্যক্তিকে কোনো কাজ করতে বা করা থেকে বিরত রাখলে বিষয়টি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। কোনো ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণ করা বা করার চেষ্টা করা ট্রাইব্যুনালের বিচারযোগ্য বিষয়।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করা বা করার চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে দেখবে।

উল্লিখিত অপরাধ করার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা বা নিজ দখলে রাখা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।  কোনো সশস্ত্র সংঘাতময় দ্বন্দ্বের বৈরী পরিস্থিতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেনি এমন কোনো বেসামরিক, কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো বা জখমের উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করা, যার উদ্দেশ্য, কোনো জনগোষ্ঠীকে ভীতি প্রদর্শন বা অন্য কোনো সরকার বা রাষ্ট্র বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য রাখা অপরাধ।

এসব অপরাধের বিচার ছয় মাসের মধ্যে বিশেষ আদালত সম্পন্ন করবে। এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেবে। এর বাইরেও ট্রাইব্যুনালকে অতিরিক্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনটিভি নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়