সন্তানকে করোনা টিকা দিলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এমন মানুষও আছেন অনেক।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার গুণেই করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ মৃদু দেখা যাচ্ছে। এতোদিন প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়া হলেও শিশুরা বাদ পড়েছিলো।

তবে এবার ১২-১৭ বছর বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু তারা নিয়মিত স্কুল-কলেজ করছে, তাই এ মুহূর্তে তাদেরও টিকা নেওয়া জরুরি।

তবে করোনা টিকা নেওয়ার পর জ্বর, শরীরব্যথার মতো নানা অসুবিধা দেখা দেয় অনেকের শরীরেই। তাই সন্তানকে টিকা দেওয়ানোর পর মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়-

>> সন্তানের যদি অ্যালার্জিজাতীয় কোনো সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে টিকা দেওয়ানোর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

>> শিশুর টিকাকরণের পর হালকা জ্বর, হাতের পেশিতে ব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা হতেই পারে। এর অর্থ হলো টিকা কাজ করছে। তাই টিকা নেওয়ার পর সন্তান অসুস্থ হলে ভয় পাবেন না। সন্তানের মধ্যেও অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না।

>> টিকা দেওয়ার পর হালকা জ্বর-সর্দি-কাশি ২-৩ দিন থাকে। তবে এর বেশি দিন যদি উপসর্গগুলো থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>> টিকা নেওয়ার স্থানে বেশ ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা জল বা বরফ সেঁক দিয়ে দিন। ব্যথা দ্রত কমবে। গরম ভাব নেবেন না ভুলেও!

>> এ সময় সন্তানের জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাওয়াবেন না। শুধু প্যারাসিটামল নয়, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না বলে কোনো ওষুধই সন্তানকে দেবেন না।

>> টিকা নেওয়ার পর সন্তানকে প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে। পানি শরীরের ক্ষতিকারক বর্জ্য বের করে দেয়। শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

>> টিকা পরবর্তী উপসর্গ এড়াতে পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম জরুরি।

>> সিডিসি বলছে, অন্য কোনো টিকা নেওয়া থাকলে করোনা টিকা নেওয়া যাবে। করোনা টিকা নেওয়ার জন্য ১৪ দিনও অপেক্ষা করতে হবে না।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ