সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়কে ৩৪ ডিগ্রি খরতাপের মধ্যে এক তরুণ পুলিশ কনস্টেবল একটু বিরতি নিয়ে চোখের সামনে নিজের মোবাইল ফোনটি মেলে ধরেছেন।
তার চারপাশের বাতাসে এক অনিশ্চয়তার নীরবতা। মুহূর্তে মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর আসছে। লকডাউনে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
খুব মনোযোগ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বেশ কয়েকটি ছবি ঘাঁটছিলেন তিনি। এটি ছিল ১২ দিন আগ জন্ম নেয়া তার কন্যার ছবি।
২৫ বছর বয়সী এ পুলিশ সদস্য মেয়েকে এক নজর দেখতে বাড়িতে যাননি। বললেন, প্রথমে আমি যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। পরে দেখলাম, কীভাবে আমার বহু সহকর্মী তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
‘কাজেই বাড়িতে না গিয়ে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিলাম।’
ভারতের কয়েক লাখ করোনাযোদ্ধার একজন রামকান্ত নাগরকে ইতাওয়াহ শহরে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভাইরাসটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ ও সাংবাদিকরা সামনের সারিতে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসাই এখন দেশগুলোর সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই পুলিশ কনস্টেবল বলেন, স্ত্রী ও পরিবার সদস্যদের সঙ্গে আমার রোজ কথা হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভারতে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের দিক থেকে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যটিতে ৫৫৮ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
সুত্রঃ যুগান্তর