সঙ্গীর জন্য দিশেহারা কাঞ্চি

জাতীয় চিড়িয়াখানার কাঞ্চি নামের একটি গন্ডার পুরুষ সঙ্গীর জন্য পাগলপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সাত বছর আগে সঙ্গী হারানো কাঞ্চির জন্য করোনাভাইরাসের কারণে পুরুষ গন্ডার জোগাড় করতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

কাঞ্চির ভয়াবহ এই নিঃসঙ্গতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, সঙ্গী মারা যাওয়ার পর ২০১৪ সাল থেকে একা-একাই দিন কাটছে কাঞ্চির।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, পুরুষ গন্ডার মারা যাওয়ার পর নিঃসঙ্গতা দূর করতে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তার সঙ্গে একই প্রজাতির তৃণভোজী ভেড়া রাখা হয়।

 

২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাঞ্চিদের আনা হয়। যার মালিক ছিলেন মেনেস নামের এক ব্যক্তি। তিন বছর বাদে অসুস্থ হয়ে মারা যায় পুরুষ সঙ্গীটি। তাতে নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে দেয় স্ত্রী গন্ডার কাঞ্চি। গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। কাঞ্চির প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে কাজের কাজ কিছুই হলো না। পরে যোগাযোগ করা হয় মেনেসের সঙ্গে। মেনেস সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন কাঞ্চির খাঁচায় যেন একটি তৃণভোজী কোনো প্রাণী দেয়া হয়। না হলে সে এভাবেই মারা যাবে। পরে ভেড়া দেয়া হলেও খুব একটা কাজ হয়নি।

কাঞ্চির কিছু খেতে চায় না। প্রায়ই তার কেয়ারটেকার ফরিদ মিয়ার সঙ্গে অসংলগ্ন আচরণ করে। ফরিদ মিয়া বলেছেন, তার মুড যখন-তখন পাল্টে যাচ্ছে। মাঝেমাঝে আমার ডাকেও সাড়া দেয় না। এত বছর একা থাকার কারণে এমনটা হয়েছে। আমি ওকে বলেছি খুব তাড়াতাড়ি সঙ্গী এনে দেব। কিন্তু শুনছে না। সঙ্গীর জন্য দিশেহারা হয়ে আছে।

কাঞ্চির জন্য আফ্রিকা থেকে পুরুষ গন্ডার আনার পরিকল্পনা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু করোনার কারণে সম্ভব হচ্ছে না।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন