সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
অতীতে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর সব হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনাও এর ব্যতিক্রম নয়।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় হানিফ এই অভিযোগ করেন।
হানিফ বলেন, সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত সব সময় উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নাসিরনগরের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।
৭ নভেম্বর বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন না করে সৈনিক হত্যা দিবস পালন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। যেখানেই আপনারা দেখবেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বিএনপি জামায়াত এই ঘটনার পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, যাঁরা উসকানি দিয়েছেন, ভাঙচুর করেছেন, লুটপাট করেছেন, তাঁদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কিসের বিপ্লব হয়েছিল? বিপ্লব হতে একটা আদর্শ থাকতে হয়। কোন আদর্শ নিয়ে ওই দিন বিপ্লব হয়েছিল? ওই দিন তো সৈনিক হত্যা দিবস পালন করা উচিত। কারণ জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য নির্বিচারে ওই দিন সৈনিকদের হত্যা করেছিল।’
সূত্র: এনটিভি